খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন।

অতি প্রাচীন কাল থেকেই খেজুর একটি জনপ্রিয় খাবার। অন্যান্য সব ফলের চেয়ে খেজুরের উপকারিতা রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ। 

খেজুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করি, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে, ওজন বাড়াতে সাহায্য করে, উচ্চরক্তচাপ কমায়। এছাড়াও খেজুরের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

আমরা এসব কার্যকরী উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকি কারণ নিয়মিত খেজুর না খাওয়া; আর কখন, কীভাবে কতটা পরিমাণে খেজুর খেতে হবে তা না জানার কারণে।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন।

তাই টেকরো বিন ব্লগের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো, নিয়মিত খেজুর খাওয়ার উপকারিতা কী, খেজুর কখন, কীভাবে, কতটা পরিমাণে খেতে হয়।

০১. হাড় মজবুত করে।

খেজুর খেতে হাড় সুস্থ ও মজবুত থাকে। এবং হাড়ের দূর্বলতা চলে যায়। আমরা অনেকেই হাড়ের দূর্বলতা অনুভব করি, ফলে মাঝে মাঝে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। হাড় সুস্থ ও মজবুত রাখতে খেজুরের উপকারিতা অতুলনীয়।

এতে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এসকল খনিজ উপাদান হাড়ের সুস্থতার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই ছোট বড় সকলেরই নিয়মিত খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।

০২. শরীরে শক্তি জোগায়।

নিয়মিত ৪-৫টি খেজুর খেতে পারলে শরীরে শক্তি দ্রুত বাড়তে শুরু করবে। এবং আপনার শারীরিক দূর্বলতা কমে যেতে শুরু করবে। 

আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকি, যার ফলে অনেক শক্তি ব্যয় হয়ে থাকে। তাই শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য সব ধরনের খাবারের মধ্যে খেজুর অন্যতম।

কারণ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, শর্করা, ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাসিয়াম সহ আরও অনেক কার্যকরী উপাদান। 

ফলে খেজুর শরীরে যথেষ্ট শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে এমন সব উপাদান তাৎক্ষণিক ভাবে শরীরে শক্তির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।

০৩. ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

যাদের ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যেতে শুরু করেছে তারা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। নিয়মিত ৪-৫ টি খেজুর খেলে দুই মাস পর দেখবেন আপনার ওজন বাড়তে শুরু করেছে।

আসলে ওজন কমানোর অনেকেই বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন ঠিক তেমনি কিছু মানুষ আছে যারা ওজন বাড়ানোর জন্য উপায় খুজতে থাকেন। তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।

তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খেজুর। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে যা শরীরের ভাঙ্গন রোধ করে ও ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

০৪. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

সহজেই যদি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান পেতে চান তাহলে প্রতিদিন ৪-৫ টি  করে ভালো মানের খেজুর খেতে পারেন। খেজুরে থাকা বিভিন্ন কার্যকরী উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে পারেন অথবা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন।

০৫. উচ্চ রক্তচাপ কমায়।

খেজুর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমাদের মধ্যে অনেকেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় ভুগছেন কিন্তু আপনি জানেন কি কিছু প্রাকৃতিক খাবার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

আর সেগুলোর মধ্যে খেজুর সব চেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

তাই যাদের এই সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন ৪-৫টি করে খেজুর খেতে পারেন। এরফলে যথেষ্ট উপকার পাবেন এছাড়াও শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

০৬. ত্বক ভালো রাখে।

আপনার ত্বক সুস্থ, সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতেও খেজুরের উপকারিতা অনবদ্য। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৪-৫টি খেজুর খেতে পারেন। আপনার ত্বক সুস্থ, সুন্দর রাখার জন্য। কারণ খেজুর একটি পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার। এটিতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম সহ আরও অনেক কার্যকরী উপাদান।

০৭. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।

চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে খেজুর যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। কারও কারও চোখের নানা সমস্যা হওয়ার কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে থাকে। নিয়ম করে প্রতিদিন খেজুর খেতে পারলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকবে। খেজুরে থাকা ভিটামিন-এ রাতকানা প্রতিরোধ করে।

০৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

খেজুর আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই সম্ভব হলে আমাদের উচিৎ নিয়মিত খেজুর খাওয়া।

০৯. গ্লুকোজের অভাব দূর করে।

আপনার শরীরে গ্লুকোজের অভাব ঘটলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গ্লুকোজের অভাব দূর করে এমন কার্যকরী খাবার খাওয়া উচিত। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খেজুর। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন