স্বপ্নদোষ কি? অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হতে মুক্তির উপায়।

স্বপ্নদোষ কী?

ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্ন দেখে শুক্রপাত হলে তাকে স্বপ্নদোষ বলে। এ পীড়া যৌবনাবস্থায় হয়ে থাকে। হয়ত কারো দিন বা রাতের মধ্যে দু'তিনবার স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। এতে অধিকাংশ শুক্রপাত হয়ে শরীরকে দুর্বল করে ফেলে।

সেজন্য ঐ রোগের শীঘ্র তদবীর করা আবশ্যক। শরীরে এরূপ রোগ থাকলে পুরুষ কখনই সংসারে পত্নী নিয়ে সুখ-সম্ভোগ করতে পারে না।

স্বপ্নদোষ হতে মুক্তির উপায়।

জেনে নিন অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের ঔষধ বা স্বপ্নদোষ হওয়ার পর কি খাওয়া উচিত যাতে তা পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

স্বপ্নদোষ হতে মুক্তির উপায়

১। কাবাবচিনি ও মকরধজ একসাথে মিশিয়ে চিনি সহযোগে সাতদিন ব্যবহার করলে স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।

২। দৈনিক সকালে কবুতরের গম সমান পরিমাণ ইছবগুলের ভূষি সেবন করলে স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।

৩। সকাল বেলা এক ছটাক পরিমাণ ধনিয়া ভালোভাবে কচলিয়ে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখবে। রাতে শয়নকালে উক্ত পানি ছেকে ২ চামচ চিনি দিয়ে শরবতের মত বানিয়ে পান করবে। এতেও স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৪। আধা তোলা ধনিয়ার গুঁড়া, ২ চামচ মধুসহ সকালে নিয়মিত সেবন করলে স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৫। রাতে শয়নকালে লিঙ্গে ওলিভয়েল তৈল মালিশ করে শয়ন করলে স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যায় ।

৬। চার আনা পরিমাণ অশ্বগন্ধা চূর্ণ করে রাতে ঘুম যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে কাঁচা দুধের সাথে মিশিয়ে সেবন করে ঘুম গেলে ইনশাআল্লাহ্ আর কোনোদিন স্বপ্নদোষ হবে না।

৭। শনিবার অথবা মঙ্গলবার রাত্রি বেলা শশ্মানঘাটের ধুতরা গাছের মূল অর্থাৎ শিকড়, কোমরে বেঁধে রাখলে আর কোনোদিন স্বপ্নদোষ হবে না।

৮। রাতে শোয়ার সময় ভালোভাবে মুখমণ্ডল কান পর্যন্ত, হাত বগল পর্যন্ত এবং পা হাটু পর্যন্ত এমনকি পলাও উত্তমরূপে ধৌত করে ঘুমাবে।

৯। মাত্রাতিরিক্ত চা ও সিগারেট সেবন না করা।

১০। রাতে বেশী পরিমাণ খানা খাওয়া উচিত নয়। অধিক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নিয়মিত আহার ও নিদ্রা যাওয়া উচিত।

১১। জৈত্রনের তেল পুরুষাঙ্গ মালিশ করে শয়ন করলে স্বপ্নদোষ হয় না। একখণ্ড শিশা পুরুষাঙ্গের মূলদেশে বেঁধে রাখলেও শুক্রপাত হয় না।

স্বপ্নদোষ হতে মুক্তির তদবীর

দুই তোলা চিনি ভালোভাবে গুঁড়া করবে। তারপর সিকি তোলা পরিমাণ আফিম ভালোভাবে মিশিয়ে দুই রত্তি পরিমাণ অর্থাৎ প্রতি তোলায় ৪৮টি করে বড়ি তৈরি করবে। অতঃপর প্রতি রাতে শয়নকালে একটি করে বড়ি এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানিসহ সেবন করবে। আল্লাহ্ চাহে তো অচিরেই স্বপ্নদোষ হতে রক্ষা পাবে।

১। প্রত্যেক দিন ভোর বেলা কৈতরগম কিংবা ইছবগুলের ভূষি এক গ্লাস সরবত বানিয়ে নিয়মিত সেবন করলে স্বপ্নদোষ রোগ ভালো হয়ে যাবে।

২। রাতে শয়ন করার কিছু পূর্বে দুই রতি পরিমাণ কর্পূর সোয়া আনা পরিমাণ চিনির গুঁড়া এবং আধা রতি পরিমাণ আফিম একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করলেও স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যাবে

অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের কারণে ধাতু পাতলা হলে: (স্বপ্নদোষ ভালো হওয়ার ওষুধ)

অধিক স্বপ্নদোষের কারণে কারো ধাতু বা বীর্য পাতলা হয়ে গেলে নিম্নোক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করবে।

সালাম মিছরী ২০০ এমা, শ্বেত মুরী ১০০ গ্রাম, সকাকুল মিছরী ২০০ গ্রাম, কালো মুসরী ১০০ গ্রাম, সিংঘাড়ের আঠা ৫০ গ্রাম ও চিরিডাল চূর্ণ ৫০ গ্রাম। এগুলো চূর্ণ করে পরিস্কার কাপড়ে ছেকে নিতে হবে। 

তারপর ঐ চূর্ণগুলো ৩ কিলো গরুর দুধে মিশিয়ে অল্প আঁচে ফুটিয়ে গাঢ় করতে হবে। তারপর ৫০০ গ্রাম গরুর ঘি ও ৭৫০ গ্রাম চিনি মিশিয়ে আরো কিছুক্ষণ আগুনে ফুটাতে হবে।

অতঃপর যখন খুব ঘন বা একটু শক্ত হবে, তখন একটি প্রতিদিন সকালে ও রাতে ১০ গ্রাম করে সেবন করতে হবে। খাওয়ার পরে কম করে হলেও ২৫ গ্রাম পরিমাণ হালকা গরম মিছরী মিশানো দুধ পান করতে হবে। এভাবে নিয়মিত খেতে পারলে নপুংশকতা তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে।

উৎস-

বই: নারী ও পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা বা পুশিদাহ রাজ।

লেখক: মুফতী হাকীম আল্লামা আশরাফ আমরহী।

Post a Comment

Previous Post Next Post