পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়।
০১। প্রতিরাতে শয়ন করার পূর্বে এক কোয়া বিশিষ্ট একটি পেঁয়াজ দশটি কালীজিরার সাথে চিবায়ে খেলে আশি বছর পর্যন্ত মনামী শক্তি পূর্ণ বহাল থাকবে। তবে নিয়মিত সেবন করতে হবে।
০২। কয়েক ফোটা মধু নিয়মিত লিঙ্গে মালিশ করলে আশিবছর পর্যন্ত লিঙ্গ মোটা, লম্বা ও লৌহদণ্ডের মত মজবুত থাকবে।
০৩। শিমুল মূলের রসে সামান্য চিনি মিশিয়ে প্রত্যেহ ভোরে সেবন করলে রতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
০৪। দুই তোলা পরিমাণ তেলাকুচার মূল অল্প পানি দিয়ে বেটে নিয়মিত সেবন করলে রতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
০৫। নিয়মিত কিছুদিন চড়ুই পাখির মাংস ভুনা করে খেলেও রতি শক্তি মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়।
০৬। শিমুল গাছের মূল দুই আনা পরিমাণ, আমলকি চূর্ণ দুই আনা, জায়ফল চার রতি ও পরিমাণ মত মাখন এবং মিছরী চূর্ণ করে একত্রে মিশিয়ে নিয়মিত সকালে ও রাতে ঠাণ্ডা পান্দিসহ সেবন করলে অতি তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যায়।
০৭। হযরত লোকমান হাকীমের জহুরা পানি দুধ কিংবা মধুর সাথে মিশিয়ে সাত দিন খেলে রতি শক্তি ঠিক থাকবে।
কামশক্তি বৃদ্ধির উপায় ঔষধ।
আমাদের দেশে দুই জাতের ডুমুর পাওয়া যায়। বড় জাতের যক্ষ ডুমুর। সেই ডুমরের রস আধা তোলা পরিমাণ নিবে এবং আধা তোলা পরিমাণ বেল পাতার রস মিশিয়ে সহবাসের সময় সেবন করলে দুই ঘণ্টারও অধিক সহবাস করা যায়। তবে এ নিয়মে সপ্তাহে একবারের বেশি সহবাস করা উচিত হবে না।
অনেকের ধারণা যে, বেল পাতায় রস হয় না, তবে নিয়ম জানা থাকলে রস বের করা যায়। যেমন- কলাগাছের মোচা কাটলে যে কস বের হয় সে কস কচি বেল পাতার সাথে মাখিয়ে রৌদ্রে শুকিয়ে রগড়ালে বেল পাথার রস বের হয়ে যাবে।
অনেকে জানতে চায় যে, কোন জিনিস ব্যবহার করলে স্ত্রী সহবাসের জন্য স্বামী ব্যাকুল হয়ে যায় এবং কোন জিনিস ব্যবহার করে স্ত্রী সহবাস করলে স্ত্রী গর্ভধারণের আশঙ্কা নেই?
আমরা বলে থাকি, জিনিসটি হলো ওঁঠ। শুঁঠ চূর্ণ করে সিকি পরিমাণ ও সমপরিমাণ আকর করা চূর্ণ একত্রে পরিমাণমত মধু নিয়ে ভালোভাবে চটকায়ে নিতে হবে এবং সহবাসের পূর্বে লিঙ্গে লাগিয়ে যৌন সহবাস করলে ঐ সহবাসে গর্ভধারণের কোনো সম্ভবনা নেই।
হারানো যৌবন ফিরে পাওয়ার উপায় কি?
প্রথমে একটি মুরগির ডিমের কুসুম নিতে হবে। যে পরিমাণ কুসুম নিবে ঠিক সে পরিমাণ খাঁটি মধু ও খাঁটি ঘি নিতে হবে। পরে সমপরিমাণ ছোট পেঁয়াজের রসের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে অল্প আগুনের তাপে জ্বাল দিয়ে হালুয়ার ন্যায় তৈরি করবে।
এই সবটুকু হালুয়া সকালে খালি পেটে সেবন করতে হবে। নিয়মিত চল্লিশ দিন খেলে যাদের যৌবন একেবারে নেই তারাও নবযৌবন লাভ করবে এবং শক্তিশালী যুবকে পরিণত হবে।
মর্দামী শক্তি বাড়াবার উপায়।
শারীরিক শক্তি ও মর্দ শক্তি বৃদ্ধির হালুয়া দিয়ে মহলী, ছি মদুলি, আকর করা, কাবাব চিনি, কলু ও শুণ্টি প্রত্যেকটি নয় মাশা, এলাচি, মরিচ কাঙ্গল প্রত্যেকটি এক তোলা, জাতিফল ১০ তোলা, অশ্বগন্ধা আড়াই তোলা, বাবুলগুণ এক সের পরিমাণ এবং মিছরি, চিনি, ঘি এক সের নিতে হবে।
তারপর বাবুলগুণকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়ে রোদ্রে শুকাতে হবে। এবার বাবুলগুণকে অল্প অল্প ঘি দিয়ে ভুনে খৈ করে পিষতে হবে। একটা লোহার কড়াইতে চিনি ও মিশ্রি পানির সঙ্গে মিলিয়ে আগুনে জাল দিয়ে ঘন করে নিবে।
এমনভাবে জাল দিবে যেন লাসাযুক্ত হয়। এখন পিষা বাবুল কড়াইতে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিবে। যখন ভালোভাবে মিশে ঘন হয়ে যাবে, তখন নামায়ো মসল্লার গুঁড়া ঘৃতে ভিজানো কড়াইতে ঢেলে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিবে।
দৈনিক সকালে খালি পেটে গরুর দুধের সাথে দুই থেকে আড়াই তোলা পরিমাণ সেবন করলে মর্দামী শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে শারীরিক শক্তিও বৃদ্ধি পাবে।
দ্রুত বীর্য পাতের ভেষজ চিকিৎসা।
আধাসের পরিমাণ শুকনা তেঁতুলের বিচি হামান দিস্তায় কুটিয়ে বিচির খোষা ফেলে দিয়ে পুনরায় শাসটা আবার গুঁড়া করে নিবে যাতে ময়দার মতো হয়।
উক্ত গুঁড়া এক তোলা পরিমাণ নিয়ে দেড় ছটাক পরিমাণ পানিতে মিশিয়ে কিছুদিন চিনি অথবা গুড় দিয়ে সকালে খালি পেটে চল্লিশ দিন পর্যন্ত খাবে, ইনশাআল্লাহ্ শীঘ্রই ধাতু গাঢ় হবে এবং তাড়াতাড়ি ধাতু নির্গত হওয়া বন্ধ হবে। ফলে যৌন মিলনেও তৃপ্তি আসবে।
উৎস-
বই: নারী ও পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা বা পুশিদাহ রাজ।
লেখক: মুফতী হাকীম আল্লামা আশরাফ আমরহী।