ছেলদের মতো মেয়েদেরও বীর্যপাত হয় কি না?
অনেক লোক এমন রয়েছে, যারা মহিলাদের বীর্যপাতের বিষয়টি বিশ্বাসই করে না। তাদের ধারণা মতে, মহিলাদের বীর্যপাত হয় না বা মহিলাদের বীর্য নেই।
অথচ সত্য কথা হলো, পুরুষদের ন্যায় মহিলাদেরও বীর্য রয়েছে। পুরুষদের ন্যায় মহিলাদেরও বীর্যপাত হয়। পুরুষদের ন্যায় মহিলাদেরও স্বপ্নদোষ হয়।
বীর্যপাতের পর পুরুষরা যেমন দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব করে, ঠিক মহিলারাও দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব করে। কেননা, বীর্য সারা শরীর থেকেই আসে। চাই সে পুরুষ হোক বা মহিলা।
পুরুষদের যেমন অণ্ডকোষ রয়েছে, মহিলাদেরও তেমন অণ্ডকোষ রয়েছে। মহিলাদের যদি বীর্য-ই না থাকত, তাহলে তাদের অণ্ডকোষ থাকার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
এই বীর্যপাতের কারণেই একেক সময় সন্তান বাবার সুরত ধারণ করে আবার কোনো কোনো সন্তান মায়ের সুরত ধারণ করে। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো কুরআন শরীফ।
মহান রাব্বুল আলামীন যিনি বিশ্বের সবকিছু সৃষ্টিকারী তিনি বলেন, 'মানুষদের চিন্তা করার বিষয় যে, তাকে কিসের দ্বারা সৃষ্টি করা হলো, তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে স্ববেগে নির্গত পানি থেকে। অর্থাৎ বীর্য থেকে, যা পুরুষের মেরুদণ্ডের হাড্ডি ও মহিলাদের বক্ষদেশ থেকে বের হয়।'
এজন্যই বলা হয়, যেমন বাপ তেমন বেটা। অর্থাৎ পিতার যেসব অঙ্গ দুর্বল ও কমজোর সন্তানেরও সেসব অঙ্গ দুর্বল ও কমজোর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেননা বীর্যতো শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রতঙ্গ থেকে নির্গত হয়।
স্বামী স্ত্রীর বীর্য দ্বারাই সন্তান ভূমিষ্ট হয়। অভিজ্ঞরা বলেন সহবাসের পর যে বীর্যপাত হয়, সে বীর্য কিছুক্ষণ জীবিত থাকে। বিশেষ করে পুরুষের বীর্য মহিলার জরায়ুতে বেশ সময় জীবিত থাকে।
এরপর স্বামীর বীর্য যখন স্ত্রীর জরায়ুতে প্রবেশ করে, তখনই সে বীর্য ধীরে ধীরে সন্তানের আকার ধারণ করে।
উৎস-
বই: একান্ত নির্জনে: গোপন আলাপ।
লেখক: মুফতী আল্লামা হাকীম আশরাফ আমরহী।