ধাতু দুর্বলতা দূর করার উপায় কি? ধাতু দুর্বলতা সারানোর উপায় কি?

ধাতু দুর্বলতা দূর করার উপায় কি? ধাতু দুর্বলতা সারানোর উপায় কি?

১। কৃষ্ণতিলা ও আমলকী সমপরিমাণ চূর্ণ করে ভালোভাবে ছেকে নিবে, প্রতিদিন ঘুমানোর সময় ১ তোলা পরিমাণ চূর্ণ মুখে দিয়ে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি পান করবে। এভাবে ২১ দিন নিয়মিত পান করলে ইনশাআল্লাহ্ পাতলা ধাতু গাঢ় হয়ে যাবে।

২। চারা শিমূল গাছের মূল শুকিয়ে চূর্ণ করে রাখবে। দৈনিক এ চূর্ণ ১ তোলা পরিমাণ নিয়ে আধাপোয়া পরিমাণ বকরীর দুধের সাথে মিলিয়ে সেবন করবে। এভাবে ২১ দিন পর্যন্ত সেবন করলে ধাতু দুর্বলতা সেরে যাবে।

ধাতু দুর্বলতা দূর করার উপায় কি? ধাতু দুর্বলতা সারানোর উপায় কি?

৩। বিকালবেলা ৩ তোলা পরিমাণ ছোলাবুট ভিজিয়ে রাখবে। সকালে খালি পেটে তা খাবে। একাধারে অন্ততঃ এক মাস খাবে। এতেও পাতলা ধাতু গাঢ় হয় এবং ধাতু দুর্বলতা কমে যায়।

৪। আম, জাম ও তেঁতুলের বীজ সমপরিমাণ নিয়ে ভালোভাবে চূর্ণ করবে। প্রতি রাতে শয়নকালে ১ তোলা পরিমাণ সেবন করে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি পান করবে। এভাবে ২১ দিন পর্যন্ত সেবন করবে।

৫। কাঁচা আম অর্থাৎ যে আমে এখনো বীচি হয় নি। সে আম ছোট ছোট করে কেটে রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করবে। ১ তোলা পরিমাণ গুঁড়া করে সমপরিমাণ আখের গুড়ের সাথে মিলিয়ে সাত দিন সেবন করলে ইন্দ্রিয়ের দোষ ভালো হয়। এমনকি ধ্বজভঙ্গ রোগ থাকলেও তা ভালো হয়ে যাবে।

ধাতু দুর্বলতা থেকে বাচার উপায়।

৬। অনেকের পেশাবের সাথে শরীরের অনেক উপাদান বের হয়ে যায়। এভাবে দিনের পর দিন বের হতে থাকলে যৌবনে শীতলতা নেমে আসে ফলে মাথায় ব্যাথা অনুভব হয়, মাথা ঘুরায়, চোখে মাঝে মাঝে তারার মতো দেখা যায়।

শরীরের অসাঢ়তা নেমে আসে। বিভিন্ন জায়গায় বাতে আক্রমণ করে, মানুষ দিন দিন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। যদি এরূপ ভাব দেখা যায়, তাহলে কালবিলম্ব না করে ওলোট কম্বলের পাতা কুচি কুচি করে কেটে একটি গ্লাসে ভিজিয়ে রাখবে।

সকাল বেলা পাতাগুলো ছেকে নিবে। ১ তোলা পরিমাণ আখের গুড় দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে একাধারে ১৫ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সেবন করবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে দুপুরে একটি কচি ডাবের পানি পান করবে।

অর্থাৎ যে ডাবে নারকেলের পর পর্যন্তও পড়ে নি। মোটকথা ডাবের পানিটা কম কম হতে হবে। এতে ক্ষয়রোগ চিরতরে ভালো হয়ে যাবে।

৭। তিন তোলা পরিমাণ চুলাবোট রাতে ধৌত করে ভিজিয়ে রাখবে এবং সকাল বেলা খালি পেটে চিবিয়ে খাবে। এভাবে অন্ততঃ ১ মাস করলে ধাতু দুর্বলতা রোগ ভালো হয়ে যাবে।

৮। রাতে শোবার পূর্বে এবং সকালে ঘুম হতে উঠে খালি পেটে আধা সের পরিমাণ ঠাণ্ডা পানি পান করলে এবং সকালে নিয়মিত গোসল করবে, এতেও ধাতু দুর্বলতা রোগ ভালো হয়ে যাবে।

৯। প্রতি রাতে আধা ছটাক পরিমাণ ইছবগুলের ভূষি ভিজিয়ে রাখবে। পরের দিন সকাল বেলা খালি পেটে একপোয়া পরিমাণ ছাগলের দুধও সামান্য চিনি মিশিয়ে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সেবন করলে ধাতু দুর্বলতার রোগ হতে মুক্তি পাবে।

১০। যাদের বীর্য পাতলা ও তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায়, তাদের জন্য এই ঔষধ অত্যন্ত উপকারী। এক তোলা পরিমাণে ইছবগুলের ভূষির সাথে আধা সের পরিমাণ গাভীর দুধ মিশায়ে খাবার মত অর্থাৎ পরিমাণ মত মিছরী মিশিয়ে অল্প অল্প করে আগুনে জাল দিয়ে গাঢ় করে নামায়ে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে এভাবে একুশ দিন পর্যন্ত সেবন করলে খুব দ্রুত পাতলা বীর্য গাঢ় হয়ে যাবে।

উৎস-

বই: নারী ও পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা বা পুশিদাহ রাজ।

লেখক: মুফতী হাকীম আল্লামা আশরাফ আমরহী।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Recent Posts

Recent in Sports