সহবাসের আগে ও পরে করণীয় কী?

সহবাসের জন্য অগ্রীম প্রস্তুতি।

পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও নির্জন স্থানই সহবাসের উপযুক্ত স্থান। সহবাসের সময় সুগন্ধী ও আতর সুঘ্রাণ ব্যবহার করা উত্তম। এসব ব্যবহার করলে হৃদয়ে আনন্দের বাতাস বয়ে যায়।

মনের আনন্দ উল্লাসের সাথে সাথে যৌনচাহিদাও বাড়তে থাকে। কারণ আতর সুঘ্রাণ মানুষের অন্তরে আনন্দ ও প্রফুল্লতা দানকারী উপাদান বিশেষ।

যেসব স্থানে লোকজনের যাতায়াত চলে, সেসব স্থানে সহবাস করবে না। কারণ এসব স্থানে সহবাস করে তৃপ্তি পাওয়া যায় না, যৌনচাহিদা, উদ্দীপনা লোকজনের যাতায়াতের দরুন হ্রাস পেতে থাকে। 

সহবাসের আগে ও পরে করণীয়

মহিলাদের জন্যও সহবাসের পূর্বে পূর্ণাঙ্গভাবে নিজেকে সাজিয়ে নিবে। নিজে পূর্ণাঙ্গ সাজ-সজ্জা গ্রহণ করবে। অতঃপর স্বামী নিজ স্ত্রীর সাথে মহব্বত ভালোবাসার কথা বলবে, মন ভোলানো নরম মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবে।

পরস্পরে আনন্দ-ফুর্তি ও মজার মজার কথা বলবে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করবে। প্রেম ভালোবাসা দিয়ে একে অপরকে মোহিত করে ফেলবে। এতে পরস্পরের মাঝে মহব্বত ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।

এসব করলে সহবাসের প্রতি উভয়ের প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হবে। সহবাসের পূর্বে স্ত্রী তার যৌন স্থানকে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধৌত করবে। এতে তার জরায়ু ছোট ও সঙ্কুচিত হয়ে যাবে।

অতঃপর যৌন স্থান পরিস্কার নেকড়া দিয়ে মুছে সুঘ্রাণ ব্যবহার করবে। এর দ্বারা স্বামীর মনে ভিন্ন একধরনের মজা অনুভব হবে। সবশেষে আপন বাসনা পূরণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।

পুরুষদের জন্য সহবাসের পর যে কাজ করা জরুরী।

সহবাসের পর পুরুষদের জন্য পেশাব করা জরুরী। এতে পুরুষাঙ্গের রগ, শিরা ও নালায় কোনো প্রকার বীর্য বাকি থাকবে না।

কেননা পুরুষাঙ্গের নালায় বীর্য বাকি থাকলে পুরুষাঙ্গের শিরা ও নালায় ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। আর এতে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ রোগের চিকিৎসাও বেশ জটিল

সহবাসের পর পেশাব করার ভিন্ন পদ্ধতি।

আমরা সাধারণত যেভাবে পেশাব করে থাকি। সহবাসের পর পেশাবের ধরনটি একটু ভিন্ন হলে ভালো হয়। সহবাস করার পর পেশাব চলাবস্থায় হঠাৎ পেশাব করা বন্ধ করে দিবে।

আবার পেশাব করা শুরু করবে এবং আবারো হঠাৎ বন্ধ করে দিবে। এভাবে তিন চারবার করলে পুরুষাঙ্গের নালায় বীর্যের ফোটা প্রজনন বাকি থাকলে তা বের হয়ে যাবে এবং মূত্রথলির রোগ থেকে বেঁচে যাবে।

সহবাসের পর শৌচকার্য করার ভিন্ন পদ্ধতি।

সহবাসের পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শৌচকার্য না করাই উত্তম। কেননা অনেক ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা পানি দ্বারা শৌচকার্য করলে জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আর সেই সাথে যৌনাঙ্গের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। সহবাসের পর শৌচকার্য করার সময় হালকা গরম পানি অথবা মাটি দ্বারা কাপড় অথবা টয়লেট টিস্যু দ্বারা শৌচকার্য করবে।

সহবাসের পর খাদ্য গ্রহণ।

সহবাসের পর মিষ্টি এবং হালকা গরম ধরণের কিছু খাদ্য খাওয়া খুবই জরুরী। যেমন-গাজরের হালুয়া, ডিমের হালুয়া, মধু মিশ্রিত দুধ, বাদামের হালুয়া। 

খাওয়ার মতো কিছুই না পেলে শুধু মধু থাকলেও খেয়ে নিবে। একেবারে না খেয়ে থাকবে না। খাওয়ার মত যা পাবে অন্তত তাই খাবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: সহবাসের পর কোনো ক্রমেই ঠাণ্ডা পানি পান করবে না। এমনকি সাথে সাথে গোসলও করবে না।

যদি অধিক তৃষ্ণা পায়, তাহলে কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর পানি অথবা দুধ পান করবে। বর্তমানে এক ধরনের ট্যাবলেট রয়েছে, যা খেলে ক্ষতিপুরণ হয়।

উৎস-

বই: নারী ও পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা বা পুশিদাহ রাজ।

লেখক: মুফতী হাকীম আল্লামা আশরাফ আমরহী।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Recent Posts

Recent in Sports