পুরুষের যৌনক্ষুধার আলামত।
কোনো খারাপ কল্পনা জল্পনা করা ছাড়াই যদি কোনো পুরুষের যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে যায় এবং তা লম্বা হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে, এখন তার সহবাসের প্রয়োজন এবং তার যৌনক্ষুদা জাগরিত হয়েছে।
যৌনক্ষুধা থাকা না থাকা অবস্থায় সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা।
সহবাসের চাহিদা জাগরিত হওয়ার পর সহবাস করলে মনে একপ্রকার খুশি, প্রফুল্লতা, আনন্দ ও আরাম অনুভব হয় এবং সাথে সাথে জ্ঞান-বুদ্ধিও বৃদ্ধি পায়।
প্রক্ষান্তরে সহবাসের চাহিদা না জাগা সত্ত্বেও সহবাস করলে সহবাসে অলসেমী অনুভব হয় এবং বীর্যপাতে তেমন কোনো আনন্দ বা স্বাদ পাওয়া যায় না।
জ্ঞান কমে যায়। রাগ সৃষ্টি হয় এবং সহবাসের পর নিজেকে লজ্জিত ও হতাশা ভাবসম্পন্ন মনে হয়। সহবাসের মাঝে বিরতি দিলে দুর্বলতা অনুভব হয়। কেননা, মানুষ জন্মগতভাবে সহবাসের প্রতি আসক্ত।
আসক্ততা অন্য কোনো বস্তুর ন্যায় নয়। এ আসক্ততার জন্য মানুষ কি না করে! দুনিয়ার সব বিসর্জন দিয়ে দেয়। একজন মহিলার জন্য নয় থেকে দশ মাস গর্ভে বাচ্চা ধারণ করা যে কত কঠিন বিষয় সেটি কেবল মহিলারাই বুঝে থাকে।
তারপরও এ কঠিন কষ্ট ও যন্ত্রণার কথা ভুলে স্বামীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হয় এবং এর দ্বারা যে সুখ ও আনন্দলাভ করে, তা ঐ কষ্টের তুলনায় অনেক বেশি মজাদার মনে হয়।
যে পুরুষ বা মহিলা একবার এর মজা অনুভব করেছে, সে আর তা বর্জন করতে পারে না। অতঃপর তাকে যৌনমিলনের তাড়নায় অগ্নিদগ্ধ হতে থাকে।
এজন্যই সহবাসের ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা উচিত। সকল ক্ষেত্রেই মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা হাদীসের ৰাণি।
উৎস-
বই: নারী ও পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা বা পুশিদাহ রাজ।
লেখক: মুফতী হাকীম আল্লামা আশরাফ আমরহী।