কতদিন পরপর সহবাস করা উচিত? | মাত্রাতিরিক্ত সহবাস করার ক্ষতিসমূহ।

কতদিন পরপর সহবাস করা উচিত?

বর্ণিত আছে জনৈক ব্যক্তি হাকীম হাকরাতকে জিজ্ঞেস করেন যে, একজন সুস্থ ও সবল ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে কতদিন পরপর সহবাস করবে?

জবাবে হাকীম সাহেব বললেন, বৎসরে একবার। লোকটি জিজ্ঞেস করলেন, যদি কারো যৌনশক্তি ও উত্তেজনা এবং চাহিদা অধিক হয়?

হাকীম সাহেব বললেন, তাহলে মাসে একবার। লোকটি আবারও জিজ্ঞেস করলেন, যদি সে ব্যক্তি এতেও পরিতৃপ্ত না হয়, তাহলে?

কতদিন পরপর সহবাস করা উচিত?

হাকীম সাহেব বললেন, তাহলে প্রতি সপ্তাহে একবার। ঐ লোকটি আবারো জিজ্ঞেস করলেন, এতেও যদি সে তৃপ্ত না হয়, তাহলে?

হাকীম সাহেব বললেন, ধাতু বা বীর্য মানুষের শরীরের চালিকা শক্তি ও তৈল। সুতরাং যদি কেউ প্রতি সপ্তাহে একবার সহবাস করেও তৃপ্ত না হয়, তাহলে সে যেন নিজের আত্মাকে বের করে ফেলে এবং জীবনের আশা ছেড়ে দিয়ে মৃত ব্যক্তির কাতারে দাঁড়িয়ে যায়। 

আর সে সাথে কবরের জন্যও প্রস্তুতি নেয়। সুতরাং সহবাসের ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা উচিত। একেবারে বেশিও না আবার একেবারে কমও না। 

কেননা, উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। কতক জ্ঞানীরা বলেন, প্রতি তিনদিন পরপর সহবাস করা উচিত। তিন দিনের মধ্যে কোনো অবস্থাতেই সহবাস করবে না।

পরিতৃপ্ত ব্যক্তির জন্য অতিরিক্ত খাবার যেমন ক্ষতিকর। ঠিক ঐরূপভাবে বেশি বেশি সহবাস করাও ক্ষতিকর। মোটকথা হলো, যৌনচাহিদার প্রতি সব সময় লক্ষ্য রাখা আবশ্যক।

মাত্রাতিরিক্ত সহবাস করার ক্ষতিসমূহ।

যৌবনের তাড়নায় ব্যাকুল হয়ে সহবাসের ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন না করলে ভবিষ্যতে এর যে ক্ষতি রয়েছে, সেদিকেও ভ্রুক্ষেপ না করলে অথবা জীবনের শুরুতে মাত্রাতিরিক্ত সহবাস করলে বেশিরভাগ মানুষ শেষ জীবনে একেবারে অচল হয়ে যায়।

তাদের অন্তর ও মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে যায়। শরীরের মাঝেও ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দেয়। শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গ আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যায়। রোগ-ব্যাধি যেন তার প্রতিদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। 

আবার কারো অবস্থা এমন হয় যে, তাদের জীবিত থাকার চেয়ে মৃত্যুবরণ করাই উত্তম। তাকে দেখলে আপন সন্তানাদি ও স্ত্রীর অনিহা ভাব সৃষ্টি হয়। তাকে দেখলে ঘৃণা আসে। তদ্রুপভাবে কখনো কখনো সন্তানাদি ও স্ত্রীও তার নিকট অবজ্ঞা ও ঘৃণার পাত্র বনে যায় ।

উৎস-

বই: নারী ও পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা বা পুশিদাহ রাজ।

লেখক: মুফতী হাকীম আল্লামা আশরাফ আমরহী।

Post a Comment

Previous Post Next Post