কেমন নারীকে বিবাহ করা উচিত?

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- "বিবাহ আমার সুন্নাত। যে ব্যক্তি আমার সুন্নত পালনে অনাগ্রহী হবে, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।"

অর্থাৎ সে আমার তরীকার উপর নেই। তিনি আরও বলেন "বিবাহ হল ঈমানের অর্ধেক।" এ হাদীসের উদ্দেশ্য হলো, বিবাহের পূর্বে কৃত আমলের গুরুত্ব শরীয়তে অর্ধেক। আর বিবাহের পর কৃত আমল স্বয়ংসম্পূর্ণ।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহ বিষয়ে আরও বলেন, 'যে ব্যক্তি মহিলার অর্থ-সম্পদ প্রাপ্তির আশায় বিবাহ করবে, আল্লাহ্ তাআলা তাকে নিঃস্ব বানিয়ে রাখবেন।'

অর্থাৎ স্ত্রীর অর্থ-সম্পদ দ্বারা তাকে উপকৃত হতে দিবেন না। আর যে মেয়ের অভিজাত বংশের খেয়াল করে বিবাহ করবে, দিন দিন তার অসভ্যতা বৃদ্ধিই পেতে থাকবে।

আর যে যিনা ব্যভিচার থেকে বাঁচতে, নিজের মান-সম্মান বহুল রাখতে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক পড়ার উদ্দেশ্যে বিবাহ করবে, আল্লাহ তাআলা তার বিবাহে বরকত দান করবেন।

কেমন নারীকে বিবাহ করা উচিত?

বিবাহের ক্ষেত্রে এমন নারী নির্বাচন করবে, যার মধ্যে ধার্মিকতা ও আমল আখলাকের ক্ষেত্রে স্বামীর চেয়ে উত্তম। এতে সে নারী অর্থ সম্পদের ক্ষেত্রে স্বামী সমতুল্য না হোক, তাতে কিছু আসে যায় না।

নারীর চেহারা গোলাকার হলে সবচেয়ে ভালো। গোলাকার ও লম্বাকৃতির চেহারা সবই আল্লাহ্ সৃষ্টি। 

তবে গোলাকার চেহারার অধীকারী নারীর কিছু অতিরিক্ত বৈশিষ্ট থাকে। যা সাংসারিক জীবনে সুখের সৃষ্টি করে তদ্রুপভাবে স্ত্রী দুরের বংশের হওয়াটা বেশি উপকারী।

কেমন নারীকে বিবাহ করা উচিত?

কারণ নিকটাত্মীয় অর্থাৎ চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো, খালাতো বোন ইত্যাদি আপন আত্মীয়ের মধ্যে দূরের তুলনায় ভালোবাসা মহব্বত কম হয়ে থাকে।

এদের থেকে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে সাধারণত তারা মেধা শক্তি ও জ্ঞান গরিমায় দুর্বল হয়ে থাকে। কখনও কখনও বিকলাঙ্গ বা বিভিন্ন জটিল রোগের শিকার হয়ে থাকে।

এজন্য যথাসম্ভব দূরের কোনো নারীকেই বিবাহ করবে। কেননা, দূরের আত্মীয়দের সাথে মহব্বত-ভালোবাসা বেশি হয়ে থাকে।

আর সন্তানাদিও জ্ঞান বুদ্ধির দিক দিয়ে তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে। সাথে সাথে নতুন করে একটি বংশের সাথে সম্পর্ক করার দ্বারা বংশধারাও বৃদ্ধি পায়।

দ্বীনি ও দুনিয়াবী উভয় শিক্ষায় শিক্ষিতা পাত্রীকেই বিবাহ করা চাই। একেবারে মূর্খ জাহেল অশিক্ষিতা নারী বিবাহ না করাই উত্তম। নারী মোটা হওয়া বা চিকন হওয়া এটা ছেলের পছন্দের উপর নির্ভর করবে।

কারো পছন্দ মোটা মেয়ে আবার কারো পছন্দ চিকন ও হালকা পাতলা মেয়ে। তবে অধিকাংশ লোকজন হালকা পাতলা নারীকেই বেশি পছন্দ করে থাকে। 

পক্ষান্তরে আরবের লোকেরা মোটা পাত্রীকে বেশি পছন্দ করে। এক হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা এমন মহিলাকে বিবাহ কর, যার থেকে বেশি বেশি সন্তান জন্ম নেয়। 

প্রশ্ন হতে পারে যে, বিবাহের আগেই অধিক সন্তান হওয়ার নিদর্শন কি? এ বিষয়টি বুঝতে হলে, উক্ত মেয়ের সহোদরা অর্থাৎ বোনো সন্তানাদি কতগুলি অথবা উক্ত মহিলার সহোদর বোন কতজন।

কিংবা তার ভাইয়ের সন্তানাদি কতজন। তাদের সন্তানাদি বেশি হলে, আশা করা যায় যে, এ মহিলার থেকেও অধিক সন্তানাদি হবে।

বিবাহের ক্ষেত্রে নির্বাচিতা নারী যেন বাঁজা না হয়। বাঁজা বলা হয় ঐ নারীকে, সন্তান জন্ম দেয়ার যোগ্যতা যে নারীর মধ্যে নেই।

উৎস-

বই: নারী ও পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা বা পুশিদাহ রাজ।

লেখক: মুফতী হাকীম আল্লামা আশরাফ আমরহী।



Post a Comment

Previous Post Next Post