জেনে নিন যেসব নারীদের বিবাহ করা অনুচিত।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- "বিবাহ আমার সুন্নাত। যে ব্যক্তি আমার সুন্নত পালনে অনাগ্রহী হবে, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।"

অর্থাৎ সে আমার তরীকার উপর নেই। তিনি আরও বলেন "বিবাহ হল ঈমানের অর্ধেক।" এ হাদীসের উদ্দেশ্য হলো, বিবাহের পূর্বে কৃত আমলের গুরুত্ব শরীয়তে অর্ধেক। আর বিবাহের পর কৃত আমল স্বয়ংসম্পূর্ণ।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহ বিষয়ে আরও বলেন, 'যে ব্যক্তি মহিলার অর্থ-সম্পদ প্রাপ্তির আশায় বিবাহ করবে, আল্লাহ্ তাআলা তাকে নিঃস্ব বানিয়ে রাখবেন।'

অর্থাৎ স্ত্রীর অর্থ-সম্পদ দ্বারা তাকে উপকৃত হতে দিবেন না। আর যে মেয়ের অভিজাত বংশের খেয়াল করে বিবাহ করবে, দিন দিন তার অসভ্যতা বৃদ্ধিই পেতে থাকবে।

আর যে যিনা ব্যভিচার থেকে বাঁচতে, নিজের মান-সম্মান বহুল রাখতে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক পড়ার উদ্দেশ্যে বিবাহ করবে, আল্লাহ তাআলা তার বিবাহে বরকত দান করবেন।

জেনে নিন যেসব নারীদের বিবাহ করা উচিত নয়।

জ্ঞানীরা বলেন, নিম্নোক্ত মেয়েদেরকে বিবাহ না করা উত্তম।

জেনে নিন যেসব নারীদের বিবাহ করা অনুচিত।

এক. যেসকল মহিলা সব সময় বিরক্ত হয়ে থাকে এবং সবক্ষেত্রেই যেসব মহিলা হা-হুতাশ করে।

কিংবা সবসময় যে মহিলা অসুস্থ থাকে। এসব মেয়েদেরকে বিবাহ করলে সাংসারিক জীবনে কোনো কাজেই বরকত পাওয়া যায় না।

দুই. উপকার করে খোঁটাদানকারী মহিলা।

তিন. প্রথম স্বামীর প্রতি আসক্ত মহিলাকে বিবাহ করা থেকে বিরত থাকবেন।

চার. যেসব মহিলা সর্বক্ষণ সাজগোজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

পাঁচ. সব সময় অশ্লীল ভাষায় বকা বাজীকারী মহিলাকে বিবাহ করবেন না।

ছয়. বাচাল বা প্রলাপী মহিলাকেও বিবাহ করতে নেই।

সাত. বৃদ্ধা মহিলার সাথে সহবাসে যেহেতু যুবকদের মানসিক দুর্বলতা ও অলসতা সৃষ্টি হয়, সেহেতু বৃদ্ধাদেরকে বিবাহ করবে না।

জ্ঞানীরা বলে থাকেন যে, যুবতীদেরকে বিবাহ করে সহবাস করার দ্বারা জান তথা ভ্রুণ সৃষ্টি হয়। পক্ষান্তরে বৃদ্ধাদেরকে বিবাহ করে সহবাস করার দ্বারা অনিষ্টতা বৃদ্ধি পায়। সে সাথে অলসতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়।

উৎস-

বই: নারী ও পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা বা পুশিদাহ রাজ।

লেখক: মুফতী হাকীম আল্লামা আশরাফ আমরহী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন