শির্ক বলতে কী বুঝায়?
ডা. জাকির নায়েকের উত্তর: 'শির্ক' শব্দটি আরবি। শির্ক অর্থ শরিক করা। আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করাকেই ইসলামের পরিভাষায় শির্ক বলে। শির্ক সবচেয়ে বড় পাপ।
অন্যান্য ধর্মে এক ঈশ্বরের কথা বললেও ইসলামে এক ঈশ্বরের বিশ্বাসের সাথে তৌহিদে বিশ্বাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তৌহিদে শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ ওহাদা থেকে।
ওহাদা অর্থ একতাবদ্ধ হওয়া বা একতাবদ্ধ করা। তৌহিদের তিনটি প্রকার আছে।
এক. তৌহিদ আল রুবুবিয়াহ।
দুই. তৌহিদ আল আসমাউল সিফাত।
তিন. তৌহিদ আল ইবাদাহ।
এক. তৌহিদ আল রুবুবিয়াহ অর্থ হলো একত্রিত হয়ে একথা মেনে নেয়া যে, এ বিশ্ব জগতের পালনকর্তা কেবল একজন। তিনি হলেন আল্লাহ। পৃথিবীর সব মানুষ ও বিশ্বজগতের অন্য সব কিছু তার উপর নির্ভরশীল এবং তিনি কারও ওপর নির্ভরশীল নন।
দুই. তৌহিদ আল আসমাউল সিফাত অর্থ আল্লাহর নামের ব্যাপারে একমত হওয়া। এটি আবার পাঁচভাগে বিভক্ত।
০১. মহান স্রষ্টা আল্লাহকে আমাদের সেই নামে ডাকতে হবে, যে নাম তিনি উল্লেখ করেছেন।
০২. তার বর্ণনা কেবলমাত্র সেভাবেই দেয়া যাবে যেভাবে কোরআনে ও হাদীসে তার বর্ণনা এসেছে।
০৩. আল্লাহ তায়ালার কোনো গুণ অন্য কারোও ওপর আরোপ করা যাবে না।
যেমন- বলা যাবে না যে, ঐ মানুষটি অবিনশ্বর, তার শুরু নেই ইত্যাদি।
০৪. আল্লাহর নাম অন্য কাউকে দেয়া যাবে না। যেমন- আব্দুর রহমান' বলা যাবে কিন্তু কাউকে 'রহমান' বলা যাবে না।
০৫. আল্লাহর সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য আল্লাহর ওপর আরোপ করা যাবে না। যেমন: মানুষ ভুল করে কিন্তু এটা বলার সুযোগ নেই যে, আল্লাহ ভুল করে। আল্লাহ ভুল করেন না।
তিন. তৌহিদ আল ইবাদাহ অর্থ হল শুধু আল্লাহর ইবাদাত করা যাবে, অন্য কাউকে তার ইবাদাতে শরীক করা যাবে না। অর্থাৎ শুধুমাত্র এক আল্লাহতে বিশ্বাস যথেষ্ট নয় সাথে অন্যান্য কথিত রব বা ঈশ্বরকে অস্বীকার করতে হবে।