অমুসলিমদের সন্তান, যারা শৈশবে মারা যায়, তারা কি কাফের?

প্রশ্ন: অমুসলিমদের সন্তান, যারা শৈশবে মারা যায়, তারা কি কাফের?

আবার, মুসলিম শিশু শিরক করে শৈশবে মারা গেলে তাদেরকে কাফের সম্বোধন করা যাবে কি না জানতে চাই।

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর: এর দুটো দিক আছে। প্রথম হলো একজন অমুসলিমের সন্তান শিশু অবস্থায় মারা গিয়েছে— আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে, ইসলাম মূলত মানুষের ঐচ্ছিক কর্মের উপর নির্ভর করে।

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

জন্ম, বংশ, কার সন্তান, কার পরিবারে জন্ম নিয়েছে, কীভাবে মৃত্যুবরণ করেছে- এটা বড় বিষয় নয়। কাজেই যে শিশুটা জন্মেছে, এখনো বড় হয়নি, সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। তাই তার তো কোনো পাপ নেই। 

কাজেই, কোনো শিশু শিরক করতে পারে না। কুফর করতে পারে না। সে তো সচেতন হয়নি এখনো। এজন্য অমুসলিমের সন্তান যখন মারা যায় তখন তাকে অমুসলিম বা কাফের বলা যায় না, রাসূল (সা:) বলেছেন,

كل مولود يولد على الفطرة، فأبواه يهودانه، أو ينصرانه، أو يمجسانه

প্রতিটি মানবসন্তানই ফিতরাতের উপরে, মানবীয় প্রকৃতির উপরে, তাওহীদের উপরে জন্মগ্রহণ করে। তার ইয়াহুদী, খ্রিষ্টান, অগ্নিপূজক ইত্যাদি কোনো পাপ থাকে না।

বড় হওয়ার পরে পিতামাতার মাধ্যমে বা সমাজের মাধ্যমে সে নির্দিষ্ট একটা ধর্ম গ্রহণ করে। কাজেই এই পর্যায়ে যাওয়ার আগে যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে তাকে আমরা মুশরিক বলতে পারি না।

ঠিক তেমনি মুমিনের সন্তানও যদি মারা যায় এই পর্যায়ে, তাকেও আমরা কাফের বলতে পারছি না। সে যদি অপরাধ করেও থাকে সেটা পিতামাতাকে দেখে দেখে করে। সে পাপী নয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post