প্রশ্নকর্তা: আমি হোটেল ম্যানেজমেন্টের একজন ছাত্র। আমাদের ট্রেনিং এর সময় অ্যালকোহল সার্ভ করতে হয়। ইসলামে কি এর অনুমতি আছে?
ইসলাম ধর্মে কি অ্যালকোহল পরিবেশন করাও হারাম?
ডা. জাকির নায়েকের উত্তর: ইসলামে অ্যালকোহল পরিবেশন করা হারাম। কোরআন ও হাদীসে অ্যালকোহল পান করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইবনে মাজাহ ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের একটি হাদীস। অ্যালকোহলের সাথে সম্পর্কিত আছে যেখানে নবী করীম ১০ ধরনের মানুষের একটি তালিকা করেছেন এবং বলেছেন এরা অভিশপ্ত।
এদের মধ্যে আছে যে লোক অ্যালকোহল তৈরি করে, যে লোকের জন্য এটা তৈরি করা হয়, যে লোক এটা বহন করে, যে লোক এটা বিক্রি করে, যে লোক এটা থেকে লাভ গ্রহণ করে, যে লোক এটা পরিবেশন করে, যে লোকের জন্য পরিবেশন করা হয়।
সুতরাং অ্যালকোহল পরিবেশন করা নিষিদ্ধ। অতএব আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানে বলতে পারেন যে, অ্যালকোহল নিষিদ্ধ এটা পরিবেশন করা যাবে না। সেটা সম্ভব না হলে পানীয়টা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। সেটাও সম্ভব না হলে পেশা পরিবর্তন করাই উত্তম।
এমন কোনো হোটেল বা রেস্টুরেন্টে আপনার চাকরি করা যাবে না, যেখানে অ্যালকোহলই হলো আয়ের প্রধান মাধ্যম। এমন জায়গায় আপনি অ্যালকোহল পরিবেশন করতে পারবেনই না; বরং সেখানে আপনার চাকরিও করা যাবে না।
তবে কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি অ্যালকোহল আয়ের অনেকগুলো উৎসের মধ্যে একটি ক্ষুদ্র উৎস হয় সেখানে আপনি অ্যালকোহল ছাড়া সংশ্লিষ্ট কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজ করতে পারেন।
আপনি এয়ারলাইন্সে চাকরি করতে পারেন, তবে এয়ার হোস্টেজের কাজ ছাড়া। কারণ, এয়ার হোস্টেজের যাত্রীদের জন্য অ্যালকোহল পরিবেশন করতে হয়।
অর্থাৎ ইসলামী শরীয়াহ্র হুকুম হচ্ছে যদি এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে আপনার চাকরি করতে হয় যেখানে কিছু হারাম কাজ হয় এবং আপনার পক্ষে সেটাকে পরিবর্তন করার সুযোগ নেই- সেখানে নিজেকে হারাম কাজের সাথে না জড়ালে আপনি মনে করতে পারেন যে, আপনার আয় হালাল।
সুতরাং আপনি আপনার ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালকের সাথে হিকমাহর সাথে কথা বলে ড্রিঙ্কস পরিবেশনের ট্রেনিং-এর ক্ষেত্রে অ্যালকোহলের পরিবর্তে অন্য কোনো হালাল পানীয় ব্যবহার করতে পারেন।