ইসলাম পর্দার অন্তরালে রেখে নারীদেরকে কি অবমূল্যায়ন করেছে?

ইসলাম পর্দার অন্তরালে রেখে নারীদেরকে কি অবমূল্যায়ন করেছে?

ডা. জাকির নায়েকের উত্তর: বিধর্মী প্রচার মাধ্যমগুলোর একটা উপুর্যপরি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু- 'হিজাব' তথা ইসলামী পোশাক। ইসলামী বিধি বিধানে নারী নিগ্রহের সবচাইতে বড় হাতিয়ার হিসেবে যা কথায় কথায় দেখানো হয়।

ধর্মীয়ভাবে নারীর জন্য রক্ষণশীল পোশাক বা পর্দা ফরয করার নেপথ্য কারণগুলো আলোচনার পূর্বে ইসলাম আগমনের প্রাক বিশ্বসমাজে সামগ্রীকভাবে নারীর অবস্থা ও অবস্থান কী ছিল তা নিয়ে সমসামান্য পর্যালোচনা প্রয়োজন।

ইসলাম পর্দার অন্তরালে রেখে নারীদেরকে কি অবমূল্যায়ন করেছে?

ক. ইসলাম পূর্ব যুগে নারীর মর্যাদা বলতে কোনো ধারণার অস্তিত্ব ছিল না। তারা ব্যবহৃত হতো ভোগ্য সামগ্রী পন্য হিসেবে।

নিম্নে বর্ণিত বিষয়গুলো বিশ্ব-ইতিহাস থেকে তুলে আনা হয়েছে। পর্যালোচনার মাধ্যমে যে চিত্র আমাদের চোখের সামনে উঠে আসবে তাতে আমরা সুস্পষ্ট দেখতে পাবো ইসলাম-পূর্ব সভ্যতাগুলোতে নারীর 'মর্যাদা' বলতে কিছু অবশিষ্ট ছিল না। হীন নীচ এমনকি নূন্যতম 'মানুষ' হিসেবেও তারা ধর্তব্য ছিল না।।

১. ব্যাবিলনীয় সভ্যতা: ব্যাবিলনীয় আইনে নারীর কোনো ধরনের অধিকার স্বীকৃত ছিল না। মর্যাদা কী ছিল একটি উদাহরণে তা স্পষ্ট করে দেবে। কোনো পুরুষ যদি ঘটনাক্রমে কোনো নারীকে হত্যা করত তাহলে তাকে শাস্তি দেবার পরিবর্তে তার স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতো।

২. গ্রীক সভ্যতা: গ্রীক সভ্যতাকে প্রাচীনকালের সকল সভ্যতার শ্রেষ্ঠতম ও উজ্জ্বলতম সভ্যতা বলা হয়। তথাকথিত এই উজ্জ্বলতম সভ্যতায় নারী ছিল সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত।

গ্রীকরা এক কাল্পনীক নারী যার নাম "প্যানডোরা" বিশ্ব মানবতার সকল দুর্ভাগ্যের মূল কারণ মনে করা হতো সেই নারীকে। তাই গ্রীকরা নারীকে 'প্রায় মানুষ' তথা মানুষের মতো বটে, কিন্তু সম্পূর্ণ মানুষ নয় বলে মনে করত।

পুরুষের সঙ্গে তার কোনো তুলনাই হয় না। অন্যদিকে নারীর সতীত্ব ছিল মহামূল্যবান বস্তু এবং দেবীর মতো সম্মানও করা হতো।

কিছুকাল পরেই এই গ্রীকরা আত্মঅহংকারের উত্তুঙ্গে উঠে ধরাপড়ে বিকৃত যৌনাচারের হাতে, বেশ্যালয়ে গমন সমাজের সকল মানুষের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছিল।

৩. রোমান সভ্যতা: রোমান সভ্যতা যখন তার বিকাশের শীর্ষ চূড়ায় তখন একজন পুরুষ যেকোনো সময় তার স্ত্রীকে হত্যা করার অধিকার রাখতো। নগ্ন নারী যেকোনো অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য বেশ্যালয়ে যাতায়াত পুরুষের সংস্কৃতি ছিল।

৪. মিসরীয় সভ্যতা: মিসরীয় সভ্যতায় নারী 'ডাইনী' এবং শয়তানের নিদর্শন হিসেবে গণ্য হতো।

৫. ইসলামপ্রাক আরব।

ইসলাম পূর্ব আরব সমাজে নারীর অবস্থান ছিল ঘরের অন্যান্য ব্যাবহারিক আসবাবপত্রের মতো। অনেক পিতা অসম্মানের হেতু হিসেবে তার শিশুকন্যাকে জীবন্ত কবর দিত।

খ. ইসলাম নারীকে উচ্চাসন ও সমতা দিয়েছে এবং প্রত্যাশা করে তারা তাদের মর্যাদা রক্ষা করবে।

ইসলাম নারীর মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে এবং নিশ্চিত করেছে তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে। ইসলামই নারীর মর্যাদা সংরক্ষণকারী।

পুরুষের পর্দা: মানুষ সাধারণত পর্দা নিয়ে আলোচনা করে নারীদের ক্ষেত্রে। অথচ কুরআনে মহান আল্লাহ নারীর পর্দার আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন। সূরা নূরে বলা হয়েছে,

"বলুন! ঈমানদার পুরুষদেরকে তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের শালীনতা হেফাযত করে। এটা তাদেরকে আরো পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করে তুলবে, আর আল্লাহ কিন্তু সব কিছুই জানেন যা তোমরা করো।" (২৪:৩০)

যে মুহূর্তে কোনো পুরুষ একজন নারীর দিকে তাকাবে অশ্লীল চিন্তা তার মনে এসে যেতে পারে। কাজেই তার দৃষ্টি অবনত রাখাই তার জন্য মঙ্গলজনক।

নারীর জন্য পর্দা: আল্লাহ তা'য়ালা বলেন- হে নবী বলুন,

"ঈমানদার নারীদেরকে তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানসমূহের সংরক্ষণ করে এবং তাদের দৈহিক সৌন্দর্য ও অলংকারের প্রদর্শনী না করে। তবে অনিবার্যভাবে যা খোলা থাকে। তারা যেন তাদের বক্ষের ওপরে চাদর ঝুলিয়ে দেয় এবং প্রদর্শন না করে তাদের সৌন্দর্য, তাদের স্বামী, তাদের পিতা, তাদের স্বামীর পিতা এবং সন্তানদের ব্যতীত।" (২৪:৩১)

গ. হিজাবের ৬টি শর্ত:

কুরআন ও সুন্নাহর বিধানমতে হিজাব পালনের ছয়টি শর্ত রয়েছে তা নিম্নরূপ।

১. পরিমাণ: প্রথম শর্ত হলো দেহের সীমানা যা যতটুকু অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে। নারী ও পুরুষের জন্য এটা ভিন্ন ভিন্ন। পুরুষের জন্য ঢেকে রাখার বাধ্যতামূলক পরিসীমা তার শরীরের নূন্যতম নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত।

নারীর জন্য এই পরিসীমা আরো বিস্তৃত হাত এবং মুখমন্ডল ছাড়া বাদবাকি শরীরের সমস্ত অংশ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। তারা যদি চায় তাহলে তা-ও আবৃত করে নিতে পারে।

ইসলামের বিশেষজ্ঞ আলেমগণের অনেকেই হাত ও মুখমণ্ডলকেও বাধ্যতামূলক ঢেকে রাখার অংশ মনে করেন। বাদবাকি পাঁচটি শর্ত নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে একই রকম প্রযোজ্য।

২. পরিধেয় পোষাক ঢিলেঢালা হতে হবে। যেন শরীরের মূল কাঠামো প্রকাশ না পায়।

৩. পরিধেয় কাপড় এতটা পাতলা, স্বচ্ছ না হওয়া যাতে ভেতরটা দেখা যায়।

৪. পোশাক এতটা আকর্ষণীয় ও জাকজমকপূর্ণ না হওয়া, যাতে বিপরীত লিঙ্গ আকর্ষিত হয়।

৫. পোষাক এমন হতে পারবে না যা বিপরীত লিঙ্গের পোশাকের ন্যায় বা সমরূপ ।

৬. পোশাক এমন হতে পারবে না যা দেখতে অবিশ্বাসীদের ন্যায়। তাই তাদের এমন কোনো পোষাক আষাক পরা উচিৎ নয় যা বিশেষভাবে অন্য ধর্মাবলম্বীদের পরিচিত এবং চিহ্নিত (যারা মূলত অবিশ্বাসী)।

ঘ. অন্যান্য জিনিসের মধ্যে অঙ্গভঙ্গি।

হিজাবের অন্তর্ভুক্ত উক্ত ছয় ধরনের পরিচ্ছদের পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ পর্দা ব্যক্তির নৈতিক চরিত্র, আচার-আচরণ, অভিব্যক্তি এবং লক্ষ উদ্দেশ্যকেও একিভূত করে।

একজন লোক সে যদি কেবল কাপড়-চোপড়ে হিজাব পালন করে তাহলে সে “হিজাব' পালন করল ন্যূনতম পর্যায়ের। পোশাকের পর্দা পালনের সাথে সাথে চোখের পর্দা, মনের পর্দা, চিন্তা-ভাবনার পর্দা এবং লক্ষ্য উদ্দেশ্যের পর্দাও থাকা বাঞ্ছনীয়।

পর্দার আওতার মধ্যে আরো যা পড়ে, তা হলো ব্যক্তির চলা, কথা বলা এবং তার সার্বিক আচরণ ইত্যাদি।

ঙ. হিজাব বা পর্দা অহেতুক উৎপীড়ন প্রতিরোধ করে:

নারীকে কেন পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে কুরআন তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে। সূরা আহযাবে ইরশাদ হয়েছে,

"হে নবী! বলুন আপনার স্ত্রী ও কন্যাদেরকে এবং ঈমানদার নারীদেরকে যে, তারা যেন তাদের বহিরাবরণ পরে থাকে (যখন বাইরে যাবে)। এটা তাদের পরিচিতির অত্যন্ত উপযোগী। (তারা যেন পরিচিত হয়। বিশ্বাসী-নারী হিসাবে) তাহলে আর অহেতুক উৎপিড়ীত হবে না। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল দয়াবান।" (৩৩:৫৯ )

কুরআন বলছে, নারীকে পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে এই জন্য যে, তারা যেন রুচিশীলা পরিচ্ছন্ন নারী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। এবং এটা তাদেরকে লজ্জাকর উৎপীড়নের হাত থেকে হেফাজত করবে।

ট. দু'টি জমজ বোনের দৃষ্টান্ত

ধরা যাক জমজ দু'বোন। উভয়ই অপরূপ সুন্দরী। একটি পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তাদের একজনের পরিধেয় ইসলামী হিজাব। তথা সম্পূর্ণ দেহ আবৃত। শুধু কব্জী পর্যন্ত হাত ও মুখমণ্ডল খোলা।

অন্য জন পরিধেয় পশ্চিমা পোশাক। শরীরের অধিকাংশ খোলা এবং প্রায় অর্ধ-উলঙ্গ। সামনেই এক মোড়ে আড্ডা দিচ্ছে এক দল যুবক। মেয়েদেরকে দেখে হৈ হল্লা করা, শীশ দেয়া ও উক্ত্যক্ত করাই তাদের কাজ।

এখন বলুন এই দুই বোনকে যেতে দেখে তারা কাকে উদ্দেশ্য করে হৈ হল্লা করবে, শীশ দেবে?, যে মেয়েটি নিজেকে ঢেকে রেখেছে তাকে দেখে, না যে মেয়েটি প্রায় উদোম তাকে দেখে?

খুব স্বাভাবিকভাবেই তাদের দৃষ্টি যাবে যে নিজেকে দেখাতে চায় তার দিকে। কার্যত এ ধরনের পোশাক বিপরীত লিঙ্গের প্রতি 'বাকহীন নিরব আমন্ত্রণ।'

যদ্দরুন বিপরীত লিঙ্গ উত্তেজিত হতে বাধ্য হয়। এ সম্পর্কে কুরআন যথার্থই বলেছে- 'হিজাব নারীদের উৎপীড়ন থেকে রক্ষা করে

ছ. ধর্ষকের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড।

ইসলামের বিধান মতে একজন পুরুষ যদি কোনো নারী ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তার শাস্তি প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন এই কঠিন বাক্য শুনে।

কেউ কেউ তো বলেই ফেলেন, ইসলাম অত্যন্ত নিষ্ঠুর বর্বরদের ধর্ম। শত শত অমুসলিম পুরুষের নিকট আন্তরিকভাবে জানতে চেয়েছি- ধরুন, আল্লাহ না করুন কেউ একজন আপনার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে অথবা আপনার বোন বা কন্যা।

অতঃপর আপনাকে বিচারকের আসনে বসানো হয়েছে এবং ধর্ষককে আপনার সামনে হাজির করা হয়েছে। কী শাস্তি দেবেন তাকে? প্রত্যেকের উত্তর একটিই- "মৃত্যুদণ্ড"।

কেউ বলেছেন, ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে আমার চোখের সামনে ব্রাশ ফায়ার করে ঝাঝরা করে দিবে। কেউ বলেছেন ওকে তিল তিল করে মৃত্যুর স্বাদ দিয়ে দিয়ে হত্যা করতে বলব।

এই উত্তর দাতাদের কাছেই এখন আমার প্রশ্ন, আপনার মা-বোন স্ত্রী কন্যাকে কেউ ধর্ষণ করলে তাকে ওভাবে হত্যা করে ফেলতে চান। কিন্তু এই একই অপরাধ যদি অন্য কারো স্ত্রী-কন্যার ওপর ঘটে তখন আপনি নিজেই বলেন মৃত্যুদণ্ড অত্যন্ত কঠোর ও নিষ্ঠুর হয়েছে।

কেন ভাই, একই অপরাধের জন্য ক্ষেত্রভেদে দুই ধরনের দন্ড?

জ. নারীকে মর্যাদা দেয়ারপশ্চিমা সমাজের দাবি কৌশলগত মিথ্যাচার।

নারী স্বাধীনতার নামে পশ্চিমা শ্লোগান একটি প্রতারণা। নারীর দেহের সৌন্দর্যকে খুলে খুলে ব্যবসা করার একটি লোভনীয় ফাঁদ। এটা তার আত্মার অবমাননা এবং তার সম্মান ও মর্যাদাকে ধ্বংস করার শয়তানী ষড়যন্ত্র।

পশ্চিমা সমাজ দাবি করে যে, নারীকে তারা সঠিক মর্যাদা দিয়েছে। আর কঠিন বাস্তবতা হলো তাদেরকে তাদের সম্মানজনক অবস্থান থেকে নামিয়ে উপপত্নী, রক্ষিতা এবং সুশীল সমাজের লালসা পুরণের জন্য উড়ন্ত প্রজাপতি বানিয়ে ছেড়েছে।

ফলে তারা এখন ভোগ-বিলাসী পুরুষের নাগালের আওতায় থাকা ভোগের পুতুল আর যৌন কারবারীদের ব্যবসায়ের সস্তা পণ্য।

যা আড়াল করা হয়েছে শিল্প ও সংস্কৃতির মনোলোভা রঙিন পর্দা দ্বারা।

ঝ. নারী ধর্ষণের সর্বোচ্চ হার আমেরিকায়

উন্নত বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নৈমিত্যিক সংঘটিত নারী ধর্ষণের হার সমগ্র বিশ্বে রেকর্ড যা কেউ স্পর্শও করতে পারবে না।

১৯৯০ সালের এফবিআই-এর দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা আমেরিকা জুড়ে প্রতিদিন গড়ে ১৭৫৬ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়। পরবর্তী পর্যায়ে আরো একটি রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিদিন সংঘটিত ধর্ষণ অপরাধের সংখ্যা ১৯০০ উল্লেখ করা হয়েছে।

রিপোর্টে সাল উল্লেখ করা হয়নি তবে অনুমান করা হয় তা ১৯৯২ ১৯৯৩ সালের কথা। হয়তো আমেরিকানরা এ ব্যাপারে পরবর্তী দু'তিন বছরে আরো 'সাহসী' হয়ে উঠেছে।

এবার একটা কাল্পনীক দৃশ্যপট ধরা যাক- আমেরিকান নারী সমাজ ইসলামী হিজাব পালন করছে। যখনি কোনো পুরুষ কোনো নারীর দিকে তাকাচ্ছে, কোনো অশ্লীল চিন্তা মনে এসে যেতে পারে ভাবার সঙ্গে সঙ্গে সে তার দৃষ্টিকে নীচে নামিয়ে নিচ্ছে।

রাস্তা ঘাটে যেখানেই কোনো নারী দৃশ্যমান হচ্ছে, কব্জী পর্যন্ত তার দুটি হাত। আর সামান্য সাদামাটা সাজগোজহীন মুখমণ্ডলের কিয়দাংশ ব্যাস, বাকি অংশ সব ঢোলাঢালা হিজাবে ঢাকা।

তদুপরি রাষ্ট্রীয় বিধান এমন যে, যদি কোনো পুরুষ ধর্ষণের অপরাধ করে তার শাস্তি-জনসমক্ষে প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড।

এখন আপনাকে প্রশ্ন করছি, গোটা পরিবেশটা যদি বাস্তবেই এমন হয় তাহলে আমেরিকার এই নারী ধর্ষণের ভয়ঙ্কর চিত্র আরো বৃদ্ধি পাবে? না একই অবস্থানে থাকবে? নাকি কমে যাবে এবং কমতে কমতে একদিন এই জঘণ্য অপরাধ শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।

ঞ. ইসলামী শরীয়তের পূর্ণ বিধান কার্যকর হলে ধর্ষণের হার নিঃশেষ হয়ে যাবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই। যেহেতু শরীয়তের বিধনাবলী, মানুষেরই জন্য তাদের সৃষ্টিকর্তা বিধাতার মনোনীত বিধিবিধান।

তা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে তার ফলাফল কল্যাণী অমিয় ধারা হয়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করবে। ইসলামী শরীয়ত যদি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় পৃথিবীর যেকোনো ভূখণ্ডে তা আমেরিকাই হোক অথবা ইউরোপ বা পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশে।

তার প্রথম প্রতিক্রিয়া হবে এই যে, সে দেশের গোটা সমাজ একসাথে বুক ভরে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেবে।কাজেই 'হিজাব' নারীকে অসম্মানী করেনি বরং সম্মানের সর্বোচ্চ আসন দিয়েছে। আর সংরক্ষণ করেছে তার শালীনতা ও পবিত্রতা।


Post a Comment

Previous Post Next Post