দীর্ঘ সময় সহবাস করার কৌশল। | দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার কৌশল।

দীর্ঘ সময় সহবাস করার কৌশল। | দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার কৌশল।

সচেতন ও বুদ্ধিমান স্বামী কখনো স্ত্রীর নিকট পরাজয় বরণ করে না। স্বামী যদি ইচ্ছা করে তাহলে স্ত্রীকে সহবাসের ক্ষেত্রে সব সময় হারাতে পারবে। এরজন্য নিজেকে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হবে। 

তবেইতো সে সব সময় বিজয়ী হবে। আল্লামা হাকীম আশরাফ আলী আমহরবী [এ কিতাবের লেখক] বলেন, বুদ্ধিমান স্বামীর উচিত যতক্ষণ স্ত্রীর বীর্যপাত না হয়, ততক্ষণ স্ত্রী থেকে পৃথক না হওয়া।

দীর্ঘ সময় সহবাস করার কৌশল। | দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার কৌশল।

যদি স্ত্রীর বীর্যপাতের পূর্বেই নিজের বীর্যপাত হবে বলে মনে হয়, তাহলে এহেন মুহূর্তে তাড়াতাড়ি স্ত্রী থেকে আলাদা হয়ে যাবে এবং দ্রুততার সাথে শ্বাস গ্রহণ করবে। অতঃপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবে, যাতে তার বীর্য পূর্বের ন্যায় আপন স্থানে ফিরে যায়।

এবার পুণরায় সহবাসে লিপ্ত হবে এবং সহবাসকালে স্ত্রীর ঠোট চুম্বন করবে। স্তনের বোটা মলতে থাকবে। 

প্রয়োজনে স্ত্রীর স্তন মুখে নিয়ে চুষতে থাকবে, দুধ জারি মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তনের বোটা জিহ্বার নিচে এমনভাবে রেখে চুষতে থাকবে যেন কোনো ক্রমেই স্ত্রীর বুকের দুধ বের না হয়।

কেননা স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য হারাম। যদি ঘটনাক্রমে মুখের ভিতর চলে যায়, এর জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তওবা করবে। তবে অনেকে মনে করে যে, এর কারনে স্ত্রী তালাক হয়ে যায়। [এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।]

এবং লিঙ্গের মাথাকে জরায়ূর মুখে নাড়াচাড়া করতে থাকবে। এই পদ্ধতি গ্রহণ করার দ্বারা স্ত্রীর বীর্যপাত তরান্বিত হয়। আর যখন স্ত্রীর বীর্যপাত হতে শুরু হয়, তখন তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটে এবং দ্রুততার সাথে নিঃশ্বাস নিতে শুরু করে।

আর যখন স্ত্রীর বীর্যপাত শেষ হয়ে যায়, তখন স্ত্রী তার স্বামীকে জানপ্রাণ দিয়ে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসে। এই পদ্ধতিতে যখন তারা সহবাস করবে, তখন এ স্বামীর দ্বারা স্ত্রী সর্বদা প্রফুল্লতা লাভ করবে এবং নিজের জীবনকে অনেকটা অর্থপূর্ণ মনে করবে।

উল্লেখিত পদ্ধতিসমূহ স্বামী তার স্ত্রীকে নিজের প্রেমে ব্যাকুল করার অন্যতম উপায় হিসেবে বিবেচিত। এছাড়াও স্ত্রীকে তৃপ্তি দেওয়ার আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে। যা সামনে উল্লেখ করা হবে।

মহিলাদেরকে উত্তেজিত করার বিষয়টি ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি যে, স্বামীর জন্য উচিত স্ত্রীকে তার যৌনক্ষুধায় উত্তেজিত করা। আর স্ত্রীকে উত্তেজিত করার পদ্ধতিও প্রত্যেক নারীর জন্য প্রযোজ্য নয়। 

বরং একক নারীর জন্য একেক রকম পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। সব নারীই এক নয় বরং কারো চাহিদা ভিন্ন রকমও রয়েছে। এ বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

আসল কথা হলো স্বামী অনেকটাই বুঝতে পারে যে, তার স্ত্রী কী চায়, কী কাজ করলে স্ত্রী উত্তেজিত হবে। এ বিষয়টি অনেক স্বামীই বুঝতে পারে এবং তার স্ত্রীকে তদানুযায়ী তৃপ্তি দিতে পারে।

আবার অনেক স্বামী রয়েছে, যারা নিজেরাই সহবাস বিষয়ে পারদর্শী নয়। যার কারণে সে নিজেও এর স্বাদ পূর্ণাঙ্গভাবে উপভোগ করতে পারে না এবং স্ত্রীকেও দিতে পারে না।

বিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলেন, সহবাসের পূর্বে স্ত্রীকে অবশ্যই উত্তেজিত করবে। হাদীসের ভাষায়ও পাওয়া যায় যে, তোমরা চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় সরাসরি সহবাস কর না। বরং প্রথমে তাদেরকে নরম নরম কথা বলে, মিষ্টি আলাপ করে, ভালোবাসার কথা বলে, চুম্বন ও বক্ষ মৈথুন করে আলিঙ্গনাবদ্ধ কর। অর্থাৎ প্রথমে স্ত্রীদেরকে উত্তেজিত কর অতঃপর সহবাস কর।

উৎস-

বই: নারী ও পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা বা পুশিদাহ রাজ।

লেখক: মুফতী হাকীম আল্লামা আশরাফ আমরহী।

Post a Comment

Previous Post Next Post