যেসব নর-নারী কখনোও কোনো যৌন সংসর্গ করেনি, তাদের পক্ষে চুম্বনের কতগুলি নিয়ম আছে। যথা-
স্বামী স্ত্রী কিভাবে কিস করে?
✪ অনেক মেয়ে জীবনের প্রথম দিকে তার স্বামীর সাথে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। স্বামী তাকে জরিয়ে ধরে চুমো দিতে চায়।✪ স্ত্রী যখন তার স্বামীর সাথে মোটামুটি পরিচিত হয়ে উঠে এবং তাদের মাঝে লজ্জা-শরমের দেয়াল কিছুটা কমে যায়। তখন দেখা যায়, চুম্বনের প্রতি সেই স্বামীর তুলনায় আগ্রহী।
তার প্রমাণ এভাবে পাওয়া যায় যে, স্বামী যখন তাকে চুম্বন করতে থাকে, তখন সে স্বামীকে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে নেয়।
তারপর অতি ধীরে ধীরে দু'জন দু'জনকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করতে থাকে। এমনকি সে নিজেই তার স্বামীর ওষ্ঠদ্বয় চুষতে থাকে। এতে সে অনির্বাচনীয় আনন্দ লাভ করে।
✪ আবার কিছু নারী এমন রয়েছে যে, স্বামী যখন তার স্ত্রীকে চুম্বন করে তখন সে তাকে জড়িয়ে ধরে। তারপর দু'জনেই চুম্বন করতে থাকে।
দু'জনের ঠোঁট পরস্পর আড়াআড়িভাবে থাকে এবং সজোরে চুম্বন করতে থাকে।
✪ কিছু কিছু স্বামী এমন রয়েছে যে, স্ত্রীকে চুম্বনের সময় এক হাত দিয়ে স্ত্রীর অধর নিজের দিকে ফিরিয়ে ধরে অন্য হাত দিয়ে তার চিবুক ধরে রাখে। তারপর তার দু'টি ঠোঁটে চুম্বন করে।
✪ অনেক স্বামী স্ত্রী একে অপরকে চুম্বন করার সময় শিষ দেবার মত শব্দ করেও চুম্বন করে থাকে।
✪ আবার অনেক সময় দেখা যায় যে, স্ত্রী ঘুমিয়ে আছে, তাকে জাগানোর উদ্দেশ্যে স্বামী তার স্ত্রীকে হালকাভাবে চুম্বন করতে থাকে।
তদ্রুপভাবে স্ত্রীও তার স্বামীকে জাগানোর ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারবে। এতে পরস্পরের প্রতি মহব্বত ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।
স্বামীর এরকম আনন্দ ও দুষ্টামী পেলে সে মনে করবে আমার স্বামী কেবল আমাকেই ভালোবাসে। সে আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝে না। ফলে সেও তার স্বামীকে জান প্রাণ উজার করে ভালোবাসতে থাকবে।
✪ অনেক পুরুষ তার স্ত্রীকে চুম্বন করতে করতে একসময় স্ত্রীর জিহ্বা চুষতে থাকে। তখন স্ত্রীও তার সাথে শরীক হয়ে যায় এবং স্বামীকে সেও তেমনটি করতে থাকে।
অনেক লোক ধারণা করতে পারে যে এটি হয়তো শরীয়তে সমর্থন করবে না। এটা শরীয়ত গর্হিত কোনো কাজ নয়।
✪ অনেক স্বামী স্ত্রী যাদের মাঝে মিল-মহব্বত অতি মাত্রায় পাওয়া যায়। তারা পরস্পরে চুম্বন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়।
অনেক সময় তারা পরস্পরে চুমাচুমির এক পর্যায়ে বলে যে, আস আমরা চুম্বনের প্রতিযোগিতা করি। দেখি কে বেশিক্ষণ চুম্বন করতে পারে।
সাধারণত: স্বামীই বেশিরভাগ জয়ী হবে, তখন স্ত্রী কৃত্রিম তর্ক করবে। বলবে- অন্যায়ভাবে আমাকে হারানো হয়েছে। স্বামী তাকে মিষ্ট বাক্যে ভুলিয়ে আবার চুম্বন প্রতিযোগিতা শুরু করবে।
এবারে স্ত্রীকে ইচ্ছা করেই জয়ী করা হবে। তখন সে আনন্দে হাসবে, নাচবে, অঙ্গভঙ্গী করবে। কিন্তু তখন সে যদি স্বামীকে ঠাট্টা করে, তখন রাগলে চলবে না।
বরং তাকে আদর করে আরো চুম্বন দিয়ে বলবে আসলে তুমিই আমাকে বেশি ভালোবাস।
✪ অনেক সময় স্বামী অবিরাম মেহনত করে থাকে, স্ত্রী মনে মনে ভাবে বেচারা সেই যে কাজ শুরু করেছে, থামার কোনো নাম গন্ধও নেই। তাকে একটু শান্তনা দেয়া দরকার।
এই ভেবে চিন্তা করে যে, তাকে কীভাবে আনন্দ দেওয়া যায়। তখন মাথায় আসে যে, আমি তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে যেকোনো এক পার্শের গালে চুম্বন করব।
অবশেষে তা বাস্তবায়ন করে দেয়। এতে স্বামীর পেছনের যে কষ্ট হচ্ছিল, তা একেবারে ভুলে যায়। তার মনে হয়, কই কাজ কাম করতে তো কোনো কষ্টই হচ্ছে না।
✪ অনেক সময় স্বামী বেচারা বিলম্বে বাড়ি ফিরে দেখে সোহাগিনী তার উপর অভিমান করে বসে আসে। তার মুখের দিকে তাকালে মনে হয় মুখভর্তি করে পিঠার চাল ভিজিয়েছে।
বিধায় গালয় ফুলে উঠেছে। তখন স্বামী উচিত তার এ কৃত্রিম অভিমান ভাঙ্গানো। এহেন পরিস্থিতিতে অনেকেই ভুল করে থাকে। রাগারাগি শুরু করে এবং স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়।
আসলে এরূপ পরিস্থিতিতে রাগারাগি না করে তাকে খুশি করার চেষ্টা করা দরকার। এজন্য অনেক সতেচন স্বামী তখন স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে তার প্রশংসা করতে থাকে এবং বিভিন্ন স্থানে চুম্বন করতে থাকে।
একসময় স্ত্রী হেঁসে দেয়। আর হাঁসার সাথে সাথেই তার সব অভিমান শেষ হয়ে যায়।
প্রেমিক প্রেমিকা কিস কিভাবে করে?
সাধারণভাবে পুরুষ নারীর মধ্যে পরিচয় গভীর হলে তারা যে কয় প্রকারে একে অপরকে চুম্বন করে থাকে তা এভাবে বলা যায়-
✪ প্রেমিক প্রেমিকা সোজাসুজি মুখে মুখে, ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে করে থাকে।
মেয়েদের শরিরের যেসব জায়গায় চুমু দিলে তারা আনন্দ পায়।
মহিলাদের যেসব স্থানে চুম্বন করলে তারা আনন্দপায় এবং স্বামীর পক্ষ থেকে এরূপ চুম্বন সর্বদাই কামনা করে থাকে। তা নিয়ে উল্লেখ করা হলো ।
১। স্ত্রীর গাল বা গণ্ডদ্বয়।
২। ওষ্ঠ-অধর।
৩। কপাল বা ললাট।
৪। মাথা ও চুল ।
৬। স্তনদ্বয়।
৫। চক্ষুদ্বয়।
৭। কাঁধ, ঘাড়।
৮। বুক।
৯। নিতম্বদ্বয়।
১০। নাভী বা তলপেট।
১১। জিহ্বা।
১২। কানের লতি।
১৩। আঙ্গুলের মাথা।
১৪ । উরু।
১৫। তলপেট।
১৭। পিঠ।
১৬। বগল।
১৮। গলা।
১৯। কটিদেশ।
২০। স্তন্যদ্বয়ের বোটা।
২১। ভগাঙ্কুর।
২২। যৌন প্রদেশ।
২৩। ভগাঙ্কুর মুক্ত।
২৪ । ভগাঙ্কুর ঢাকা চর্ম।
কিন্তু অনেক লোকেরই এ বিষয়ে সতচেন না হওয়ায় তাদের স্ত্রী তার দ্বারা তেমন একটা আনন্দ পায় না। অনেক মহিলা বলে যে, আমার স্বামী আস্ত একটা বলদ।
শুধু বিয়েই করেছে। কিচ্ছু বুঝে না। এ ব্যক্তি কেন যে পুরুষ হলো, তা আমি কোনোক্রমেই বুঝি না। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, এসব বিষয়ে মহিলা যতটুকু পারদর্শী পুরুষ ততটা পারদর্শী নয়।
কিন্তু মহিলা সে লজ্জা শরমের কারণে মনের সুপ্ত কথাগুলো স্বামীকে বলতেও পারছে না আবার নিজেকে শান্তনাও দিতে পারছে না।
যখন সে তার বান্ধবীদের কাছে তাদের স্বামীর আদর মহব্বত ও গোপনীয় কথাবার্তা শুনে, তখন তার হৃদয়টা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় এবং মনে মনে ভাবে হায়! আমার স্বামী যদি এসব কিছুটা বুঝতো। তাহলে আমার জীবনটা সার্থক হতো।
আশা করি, পোস্টটি পড়ে থেকে ছেলে-মেয়ে উভয়ই উপকৃত হয়েছেন।
মেয়েরা জানতে পেরেছেন ছেলেদের কিভাবে কিস করতে হয়, আর ছেলেরা জানতে পেরেছেন কিভাবে কিস করলে মেয়েরা খুশি হয়।
চুমু খাওয়ার নিয়মগুলো আপনাদের দাম্পত্য জীবনে কাজে লাগাতে পারেন।
উৎস-
বই: নারী ও পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা বা পুশিদাহ রাজ।
লেখক: মুফতী হাকীম আল্লামা আশরাফ আমরহী।