মুসলিম মহিলারা কীভাবে দাওয়াতি কাজ করবে?

প্রশ্ন: আমরা জানি, মুসলিমদের জন্য দাওয়াত দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মুসলিম মহিলাদের জন্য দাওয়াত দেয়াটা খুব কঠিন। তারা ঘরের দেখাশোনা করে, ভদ্রতা বজায় রাখে। আর সে যদি অন্তর্মুখী হয় তাহলে তার জন্য দাওয়াত দেয়াটা আরও কঠিন। এ ব্যাপারে কিছু বলবেন কি?

মুসলিম মহিলারা কীভাবে দাওয়াতি কাজ করবে?

উত্তরে ডা. জাকির নায়েক: দাওয়াত দেয়া শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, আবশ্যক। সুতরাং আপনার দওয়াত দিতে হবে। অনেক মানুষের ধারণা যে, শুধুমাত্র বহিঃমুখী হলেই দাওয়াত দিতে পারবেন। আরেকটা ভুল ধারণা হলো দাওয়াত মানে কথা বলা। দাওয়াত মানে শুধু কথা বলা নয়।

মুসলিম মহিলারা কীভাবে দাওয়াতি কাজ করবে?

চিঠি লেখা, ই-মেইল, এসএমএস ইত্যাদি প্রক্রিয়ায়ও দাওয়াত দেয়া যেতে পারে। সুতরাং অন্তর্মুখী কোনো নারীর পক্ষেও দাওয়াত দেয়া কঠিন কিছু নয়। তবে দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিপর্যায়ে পুরুষ কেবল পুরুষ ও নারী কেবল নারীদের দাওয়াত দিতে পারবে।

দাওয়াত দেয়া শুরু করতে হয়তো দ্বিধা বা সংকোচ কাজ করতে পারে। লজ্জার কারণে দাওয়াত দিতে বিব্রতবোধ করতে পারেন। কিন্তু আল্লাহর পথে কেউ জিহাদ করলে তার পথ আল্লাহ সহজ করে দেন। আমি নিজে এক সময় তোতলা ছিলাম।

পরবর্তীতে দাওয়াতের কাজ শুরু করতে আল্লাহ আমার ভাষার জড়তা দূর করে দিয়েছেন। সুতরাং আপনি যদি দাওয়াতের কাজ শুরু করেন আল্লাহ আপনার পথ সহজ করে দেবেন। আল্লাহ সাহায্য করলে কেউ তাকে হারাতে পারে না, আর আল্লাহ সাহায্য না করলে কেউ তাকে বাঁচাতে পারে না।

সূরা আলে ইমরানের ১৬০ নং আয়াতে বলা হয়েছে,

وعلى الله فليتوكل المؤمنون .

অর্থ: “মুমিনদের শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিত।"

অনেক সময় শুধুমাত্র আপনার বাহ্যিক বেশভূষা ও চালচলনের মাধ্যমেও আপনি দাওয়াত দিতে পারবেন। এরকম একবার হয়েছিল আমাদের IRF-এ আমরা মহিলাদের দাওয়াতের ট্রেনিং দেয়ার জন্য দায়ী সংগ্রহ করছিলাম।

আমি ও আমার বোন তাদেরকে তাদের সাথে কথা বলছিলাম, প্রশ্ন করেছিলাম ও প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলাম। তাদেরকে আমরা পর্দা বা পোশাক সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনো কথা না বললেও তাদের মাঝ হতে দুই একজন অমুসলিম প্রশ্ন করেছিল যে, দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের কী পোশাক পরে আসতে হবে?

শাড়ি বা স্যালোয়ার কামিজ পরে আসা যাবে কি না? এর কারণ তারা আমার বোনকে দেখেছিল হিজাব পড়া অবস্থায়। সুতরাং এক্ষেত্রে তার বাইরের এপেয়ারেন্সটাই তার দাওয়াতী মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে।

সুতরাং আপনি দাওয়াতী কাজ শুরু করেন, এরপর আল্লাহর ওপর ভরসা করুন। আল্লাহ আপনার কাজ সহজ করে দেবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post