ছেলেটির নাম মুন্না ভগত। বয়স মাত্র ২০ বছর। সে তার মামা যতন কুমারের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে মর্গে ডোমের কাজ করে আসছিলো।
মর্গে রাখা লাশ পাহারার দায়িত্বও ছিল তার উপর। বিভিন্ন স্থান থেকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হতো, আর সেসব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না ভগত।
অস্বাভাবিকভাবে মারা যাওয়া পাঁচ নারীর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেখে সিআইডি কর্মকর্তারা অভাগ হন। কারণ ওই পাঁচ নারীর লাশে একই ব্যক্তির শুক্রাণু পান তারা।
ওই সব নারীদের বয়স ছিল ১১ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের প্রাথমিক ধারণা ছিল, এসব নারীর মৃত্যুর পেছনে কোনো একজন সিরিয়াল রেপিস্ট অথবা সিরিয়াল কিলারের হাত রয়েছে।
কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে লাশের গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিলনা। তাই তদন্তটি নতুন মোড় নেয়। মর্গেই হয়তো এসব মৃত নারীদের ধর্ষণ হয়েছে এমন সন্দেহে CID তদন্ত শুরু করে।
তদন্তে তারা চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। এসব নারীদের লাশকে ডোম মুন্না ভগত ধর্ষণ করতো। শুধুমাত্র এই ৫ নারী নয়, প্রায় দুই-তিন বছর ধরে সে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের লাশকাটা ঘরে মর্গে থাকা কমবয়সী মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল।
ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ওই মর্গের সহকারী ডোম মুন্না ভগতকে ১৯ নভেম্বর ২০২০ CID গ্রেফতার করে। তার বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের জুরান মোল্লার পাড়ায়।