মাত্রাতিরিক্ত সহবাসের ক্ষতি। অতিরিক্ত সহবাসের কুফল।

অধিক সহবাসের ক্ষতি। (প্রতিদিন সহবাস করলে কি হয়?)

মাত্রাতিরিক্ত কোনো জিনিসই ভালো না। আবে হায়াতও অধিক পান করা ভালো নয়, অন্যথায় এটা বিষ হয়ে যায়। অতিরিক্ত কেবল আল্লাহ ও তার রাসুল কর্তৃক বর্ণিত মহব্বতই প্রশংসাযোগ্য।

সুতরাং সর্বক্ষেত্রেই মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা চাই। বিশেষ করে সুস্বাদু ও মজাদার বস্তু খাওয়ার মাঝে কখনোই অতিরিক্ত করা ঠিক নয়। অধিক সহবাসের কারণে গর্ভধারণের শক্তিও হারিয়ে ফেলার সম্ভবনা রয়েছে।

মাত্রাতিরিক্ত সহবাসের ক্ষতি। অতিরিক্ত সহবাসের কুফল।

কেননা অধিক সহবাসে পুরুষের বীর্য ও মহিলার ধাতু পাতলা হয়ে যায়। যুবক-যুবতীরা তাদের যৌবনকালে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করে দিওয়ানা হয়ে সহবাসের মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে অমূল্য সম্পদ বীর্যকে নষ্ট করে ফেলে।

তাদের খেয়ালই নেই যে, এক ফোটা বীর্য সত্তুর ফোটা রক্তের নির্যাস। এক ফোটা বীর্য উৎপাদন হতে সত্তর ফোটা রক্ত ব্যয় হয়। এই দামী জিনিসকে মাত্রাতিরিক্ত সহবাস করে নষ্ট করে দিচ্ছে।

এক সময় তাদের অবস্থা এমন হয় যে, মাথায় হাত দিয়ে কাঁদতে থাকে। অবশেষে কোনোভাবে সহবাসের জন্য বিভিন্ন হেকিম ডাক্তারদের স্মরণাপন্ন হয়ে ঔষধের মাধ্যমে সহবাস করতে হয়।

অথচ নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে সহবাস করলে আজ তাকে এসব জ্বালা সহ্য করতে হত না। হত না নিজেকে ধিক্কার দিতে।

অধিক সহবাসে স্ত্রীও ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়।

অধিক সহবাসে যেভাবে পুরুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তদ্রুপভাবে নারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুরুষের ন্যায় মহিলারাও দুর্বল হয়ে যায়, সুস্থ থাকে না। সুস্থ ও সবল সন্তান জন্ম দেয়ার শক্তি থাকে না।

গর্ভবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস করা উচিত নয়। গর্ভের প্রথম মাসে অধিক সহবাস করার দ্বারা অনেক সময় দুর্বল গর্ভ নষ্ট হয়ে যায়। অধিক সহবাসে বড় ধরনের রোগ-ব্যাধিও দেখা দেয়।

যে সুস্থ ও সবল সন্তান কামনা করে, তাকে স্ত্রী গর্ভের প্রথম ও শেষ মাসে সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। একমাস অতিক্রম না হলে স্ত্রী গর্ভবতী হয়েছে কিনা নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। তাই গর্ভের প্রথম মাসে সহবাস করবে না।

অধিক সহবাসের দ্বারা তারাই আরাম বোধ করে, যাদের শরীরে অধিক যৌনোত্তাপ রয়েছে, যাদের শরীরে রক্ত মাত্রাতিরিক্ত এবং মনীও বেশি।

উৎস-

বই: একান্ত নির্জনে: গোপন আলাপ

লেখক: মুফতী আল্লামা হাকীম আশরাফ আমরহী।

Post a Comment

Previous Post Next Post