সহবাস করার ১৫ টি নিয়ম। | সহবাস করার ইসলামিক পদ্ধতি।

সহবাস করার ইসলামিক পদ্ধতি। | সহবাস করার নিয়ম।

“নারীরা তোমাদের ক্ষেতস্বরূপ। সুতরাং তোমরা ক্ষেতের যেকোনো দিক দিয়ে আসতে পারো।” -আল কোরআন।

স্ত্রী হচ্ছে স্বামীর জন্য ফসলের ক্ষেত স্বরূপ। ফসলের ক্ষেত যেভাবে ইচ্ছা যে কোনো সময় চাষাবাদ করা যায়। তদ্রুপ স্বামী তার স্ত্রীর সাথে যেকোনো সময় ও যেকোনো অবস্থাতে সহবাস করতে পারবে।

এতে শরীয়তের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। শরীয়ত কেবল মহিলাদের বিশেষ কিছু সময়ে তথা- ঋতুস্রাব ও সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর যতদিন রক্তস্রাব যায় তবে চল্লিশ দিনের উর্ধ্বে নয়।

সহবাস করার ১৫ টি নিয়ম। | সহবাস করার ইসলামিক পদ্ধতি।

এ সময়ে স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে নিষেধ করেছে। পাশাপাশি স্ত্রীর মলদ্বারে বা পিছনের রাস্তায় কাম চরিতার্থ করা হারাম করেছে।

স্বামী-স্ত্রী মিলনে যেসব পন্থা অবলম্বন করে থাকে তার কিছুটা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

স্বামী স্ত্রী সহবাসের নিয়ম কানুন।

 স্ত্রী কোনো বিছানার উপরে [মাটিতে পাতাই হোক বা চৌকি বা খাটের উপরেই হোক] শয়ন করবে। স্বামী তার বুকের উপর শয়ন করবে। অতঃপর চুম্বন, আলিঙ্গন, নখচ্ছেদা, দংশনচ্ছেদ্য করতে পারে।

কিন্তু স্বামীর কর্তব্য হলো স্ত্রীকে কাম উন্মত্ত করে নেওয়া। তার পর স্বামী তার স্ত্রীর বক্ষ আবরণ ও কটি আবরণ একে একে উন্মোচন করে তাকে আরো উত্তেজিত করবে এবং তার আবরণহীন গুপ্তাঙ্গে নিজের পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করাবার চেষ্টা করবে।

এভাবে আনন্দ ফুর্তি করার দ্বারা স্ত্রীর যৌনাঙ্গ থেকে একপ্রকার পিচ্ছিল পানি বের হয়ে আসবে এতে সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানো অতি সহজ হয়ে যাবে। অতঃপর স্বামী আপন কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবে।

 স্ত্রী তার জানু গুটিয়ে তুলে, উরুদ্বয় উঁচু করে এবং পরস্পর থেকে ছড়িয়ে দিয়ে তার যোনি একেবারে ব্যাদিত মুখ করে দিলে স্বামীর জন্য সুবিধা হতে পারে।

❁ স্ত্রী তার হাঁটু এবং উরুদ্বয় এমনভাবে জড়িয়ে ধরবে, যাতে স্ত্রীরvকোমরের দিকে সেগুলি গিয়ে লেগে যায়। এতে একটি সাধারণ স্ত্রীর মতো সুখদান করতে পারে।

 স্ত্রী তার উরুদ্বয় বেকিয়ে স্বামীর বুকের উপর রাখবে এবং স্বামীও তার হাত দু'টি দিয়ে স্ত্রীর কটিদেশ চেপে ধরে সহবাস করতে শুরু করবে। এতে পুরুষাঙ্গটি যোনির একেবারে শেষ দিকে চলে যাবে।

 স্ত্রী এক পা লম্বা করে অপর পা স্বামীর বুকের উপর রাখবে। এভাবেও অনেক পুরুষ সহবাস করে থাকে।

 স্ত্রী এক পা লম্বা করে বিছানায় রাখবে আর অপর পা বেকিয়ে তার নিজের মাথায় ঠেকাবে। এই ভঙ্গিমাটি আয়ত্বে আনতে কিছুটা অভ্যাসের প্রয়োজন।

 স্ত্রী তার পা গুটিয়ে ঊরুর সঙ্গে যোগ করে এবং স্বামীর পাছার তলদেশ জড়িয়ে ধরে তার গোড়ালি নিজের পাছায় রাখবে এবং এ সময় হাঁটু গেড়েও সহবাস করা যেতে পারে।

 স্ত্রী বিছানায় শুয়ে তার উরুদ্বয় উপরে তুলে ছড়ায়ে দিবে এবং এক ঊরু অন্য ঊরুর উপর অদল-বদল করে চাপিয়ে দিবে।

 স্ত্রী উপুড় হয়ে বুকের উপর শয়ন করবে। স্বামী তার স্ত্রীর পিঠের উপর শুয়ে পেছন দিক থেকে যোনির মধ্যে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করাবে।

❁ আবার অনেক স্বামী তার স্ত্রীর সাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সহবাস করে। এক্ষেত্রে স্ত্রী তার এক পা উপর দিকে উঠিয়ে স্বামীর হাটুর উপর রাখবে আর নিচ দিক থেকে স্বামী তার পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করাবে।

 স্ত্রী তার হস্তদ্বয় দ্বারা হাঁটু দু'টি মুড়ে ধরবে। স্বামী তার কনুই দিয়ে স্ত্রীকে তুলে ধরে সহবাস শুরু করবে।

 স্বামী কোনো দেয়াল বা থামে ঠেক দিয়ে দাঁড়াবে বা তাতে হেলান দিয়ে দাঁড়াবে। স্ত্রী এগিয়ে গিয়ে স্বামীর সামনে দাঁড়াবে। স্বামী তার স্ত্রীর নিতম্ব ধরে তুলে নেবে। তারপর যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে সহবাস করতে থাকবে।

 স্ত্রী তার হাত পা চারটিই মাটির উপরে রেখে দেবে এবং স্বামী তাকে দুই হাতে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরবে। এবং পেছন থেকেই যোনিতে পরুষাঙ্গ প্রবেশ করাবে। স্বামী স্ত্রী বসে বসেও সহবাস করতে পারে।

❁ অনেক স্বামী মাঝে মাঝে চায় যে, স্ত্রী তার উপর উঠে তার সাথে সহবাস করুক। এর জন্য স্বামীকে বিছানায় শুতে হবে অতঃপর দু'পা লম্বা বা গুটিয়ে নিয়ে দু'পায়ের মাঝখানে স্ত্রীকে জায়গা করে দিতে হবে।

এভাবেও সহবাস করা যেতে পারে। নারীরা যখন পূর্ণ আনন্দ পেতে থাকে, তখন নিজের অজান্তেই মুখ থেকে বিভিন্ন ধ্বনি বের হয়ে আসে।

সহবাসের সময় বিশেষ কাজ

সহবাসের সময় স্বামীর উত্তাল তরঙ্গের সাথে সাথে স্ত্রীও সেই তরঙ্গে যোগ দিবে। নিজেকে একেবারে শিথিল করে রাখবে না। আসল তরঙ্গতো স্বামীর পক্ষ থেকেই হয়ে থাকে। যার দ্বারা স্বামীর বীর্যপাতের সুবিধা হয়।

আর সাধারণত মহিলাদের বীর্যপাত স্বামীর তুলনায় কিছুটা বিলম্বে হয়। স্বামী স্ত্রীর তরঙ্গ একত্রে চলতে থাকলে, স্ত্রীর বীর্যপাতও সহজ ও তাড়াতাড়ি হয়। 

এতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে পারে। অন্যথায় কেবল স্বামীই মোটামুটি স্বাদ পেয়ে থাকে।

ইসলাম ধর্মে সহবাস করার নিয়ম।

উৎস-

বই: নারী ও পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা বা পুশিদাহ রাজ।

লেখক: মুফতী হাকীম আল্লামা আশরাফ আমরহী।

Post a Comment

Previous Post Next Post