পরকালের অস্তিত্ব কীভাবে প্রমাণ করা যায়?

প্রশ্ন: কীভাবে প্রমাণ করবেন, পরকালের অস্তিত্ব অর্থাৎ 'মরণের পরে আবার একটি চিরস্থায়ী জীবন আছে?

পরকালের অস্তিত্ব কীভাবে প্রমাণ করা যায়?

ডা. জাকির নায়েক:

ক. 'পরকালে আস্থা' অন্ধ বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়

বহুলোক আশ্চর্য হয়ে যান এ কথা ভেবে যে, বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিসম্মত প্রকৃতির কোনো মানুষ কীভাবে পরকাল বা মৃত্যুর পরে পূর্ণজীবনের ওপরে আস্থা রাখতে পারে?

তারা মনে করে যে, যারা পরকালে আস্থাশীল তাদের সেই আস্থা একটি অন্ধ বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত। নিঃসন্দেহে পরকালে আমার আস্থা সঙ্গত যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।

খ. পরকাল' একটি যৌক্তিক বিশ্বাস

বৈজ্ঞানিক বিষয়াদি নিয়ে মহাগ্রন্থ আল কুরআন অন্তত হাজারের ওপরে আয়াত ধারণ করে আছে (এ প্রসঙ্গে আমার বই কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান সুসঙ্গত অথবা অসঙ্গত)

অতীত কয়েক শতাব্দীতে কুরআন বর্ণিত বিজ্ঞানের অসংখ্য বিষয় সত্যায়িত হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞান এখনও কুরআন বর্ণিত প্রতিটি বিষয়কে সত্যায়ীত করতে পারে এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছতে সক্ষম হয়নি।

যদিও কুরআন বর্ণিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্বসমূহের ৮০% ভাগ সত্যতা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়ে থাকে। বাকি থাকলো মাত্র ২০% ভাগ, যে সব সম্বন্ধে বিজ্ঞানের কাছে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই।

যেখানে বিজ্ঞানই এখন পর্যন্ত সে পর্যায়ে পৌছায়নি বা সক্ষম হয়নি যাতে কুরআনের সকল বর্ণনাকে সত্য বা মিথ্যা বলে প্রমাণ করতে পারে।

কাজেই আমাদের সীমাবদ্ধ বা সীমিত জ্ঞান নিয়ে আমরা নিশ্চিত করে ঐ ২০% ভাগ অনুদ্ঘাটিত সত্যাসত্যের এমন কী একটি আয়াতও ভুল- একথা বলতে পারি না।

তাই কুরআনের ৮০% ভাগ যেখানে চূড়ান্তভাবে সত্য হিসেবে প্রমাণিত এবং বাকি ২০% ভাগ শুধু প্রমাণের অপেক্ষায়। সেখানে যৌক্তিকতা এটাই বলবে যে, ঐ ২০% ভাগও সত্য বলেই প্রমাণিত হবে।

কুরআনে বর্ণিত পরকালীন চির স্থায়ী জীবনের বিষয়টি ঐ ২০% ভাগের অন্তর্ভূক্ত, যা অনুদ্ঘাটিত একটি সত্য। যৌক্তিকতা এখানে তার সত্যতার প্রতি মত দেবে।

গ. পরকাল দর্শন' ব্যতীত শাস্তিও মানবীক মূল্যবোধসমূহ সম্পূর্ণ অর্থহীন

ডাকাতি করা ভালো না মন্দ কাজ? ভারসাম্যপূর্ণ সাধারণ একজন লোকও বলবেন, এটা জঘন্য কাজ।পরকালের ভালো-মন্দ যে বিশ্বাস করে না সে কেমন করে একজন শক্তিশালী ও প্রভাবশালী কিলারকে বোঝাবে যে, ডাকাতি একটি জঘন্যতর অপরাধ?

ধরা যাক, পৃথিবীতে আমি একজন শক্তিশালী অপরাধী, একই সঙ্গে আমি একজন বুদ্ধিমান ও যুক্তিবাদী মানুষ।

আমি বলব ডাকাতি একটি ভালো কর্ম কেননা এটা আমাকে বিলাসী জীবন যাপন করার সহায়তা করছে তাই ডাকাতি আমার জন্য ভালো।

যদি কোনো ব্যক্তি আমার সম্মুখে উপযুক্ত একটি যুক্তিও দাঁড় করিয়ে দেখাতে পারে যে, ডাকাতি আমার জন্য মন্দ কেন? তাহলে সঙ্গে সঙ্গে একাজ আমি ত্যাগ করব।

১. কেউ হয়তো একথা বলবে, যার সর্বস্ব ডাকাতি হয়ে গেছে সে সমস্যায় পড়বে আমি নিশ্চয় তার সঙ্গে একমত যে, যার ওপর ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে তার জন্য এটা মন্দ।

কিন্তু এটা আমার জন্য তো বেশ ভালো। আমি যদি হাজার ডলার ডাকাতি করে থাকি তবে মহানন্দে কোনো পাঁচতারা হোটেলে দুচার বেলা খাবার খেতে পারব।

২. তোমার ওপরেও কেউ ডাকাতি করতে পারে কেউ হয়তো বলবে একদিন আমার সর্বস্বও ডাকাতি হতে পারে। আমার কাছে থেকে কেউ কোনো কিছু কেড়ে নিতে পারবে না। কারণ আমি নিজেই অনেক শক্তিশালী।

অন্তত শ'খানেক বডিগার্ড রয়েছে আমার। ডাকাতি আমি করি, আমার ঘরে কে ডাকাতি করবে? একজন সাধারণ লোকের জন্য ডাকাতি একটা ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হতে পারে কিন্তু আমার মতো প্রভাবশালী লোকের জন্য নয়।

৩. পুলিশ তোমাকে গ্রেফতার করতে পারে। কেউ হয়তো বলবে পুলিশ তোমাকে একদিন গ্রেপ্তার করবে। পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করবে না। কারণ পুলিশকে আমি রীতিমতো মাসোহারা দেই।

এমনকি শক্তিশালী এক মন্ত্রীকেও আমি মোটা অংকের চাঁদা দেই। হ্যাঁ, এ ব্যাপারে আমি একমত যে, একজন সাধারণ লোক ডাকাতি করলে সে ধরা পড়তে পারে। কিন্তু আমার তো এধরনের কোনো ভয়ই নেই।

ধরা পড়লেও সঙ্গে সঙ্গে আমি মুক্ত হয়ে যাবো এ ধরনের গ্যারান্টি আমার আছে। যুক্তিপূর্ণ অন্তত একটা কারণ কেউ আমাকে দেখাক কেন এটা আমার জন্য মন্দ এবং কেন বা এ পেশা আমি ছেড়ে দেব।

৪. কেউ হয়তো বলবে এটা উপরি পয়সা, কষ্টার্জিত নয়। আমি তার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত- এটা খুব সহজে উপার্জিত টাকা। মূলত এটাই তো আসল কারণ, যে জন্য আমি ডাকাতি করি।

যদি কোনো লোকের সামনে উপার্জনের দু'টো পথ খোলা থাকে- একটা সহজ আর একটা কঠিন, বুদ্ধিমান যেকোনো মানুষ সহজ পথটাকেই তো বেছে নেবে!

৫. এটা মানবতা বিরোধী কেউ হয়তো বলবে এটা মানবতা বিরোধী। মানুষের জন্য মানুষের ভাবা উচিত। আমি তাদের নিকট পাল্টা প্রশ্ন করব। মানবতার এ বিধান কে লিখেছে? কেন আমি তা মানতে যাব?

এ আইন হতে পারে আবেগ প্রবণ ও অনুভূতিশীল লোকদের জন্য ভালো। কিন্তু আমি উপযুক্ত যুক্তি ছাড়া কিছুই মানতে রাজি না-মানুষের ভাবনা আমি ভাবতে যাবো কোন দুঃখে?

৬. এটা চরম স্বার্থপরতা

কেউ হয়তো বলবে ডাকাতি একটি চরম স্বার্থপরতা। হ্যাঁ একথা মানি, ডাকাতি একটা স্বার্থপর কাজ। তবে আমি কী আমার স্বার্থ দেখব না?

এটাতো আমাকে আমার বিলাসী জীবন উপভোগের উপায় করে দিয়েছে!

পরকালের অস্তিত্ব কীভাবে প্রমাণ করা যায়?

১. যুক্তি দ্বারা ডাকাতিকে মন্দ প্রমাণ করা যাবে না

অতঃপর ডাকাতিকে মন্দ কাজ হিসেবে প্রমাণ করার সমস্ত যুক্তি উপস্থাপন ব্যর্থ ও অকার্যকর প্রমাণিত হলো। সকল যুক্তির বাণী একজন সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারে, কিন্তু আমার মতো একজন শক্তিধর প্রভাবশালী অপরাধীকে নয়।

কোনো বিতর্কই কেবলমাত্র যুক্তির ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। কাজেই সারা পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য অপরাধীর জয়জয়কার অবাক হবারও কিছু নেই।

একইভাবে প্রতারণা, নারীধর্ষণ ইত্যাদি আমার মতো ব্যক্তির জন্য ভালো কাজ হিসেবেই বিবেচিত হবে এবং যৌক্তিকতার দিক দিয়ে এমন কোনো সূত্র নেই যা আমাকে বোঝাতে পারে যে, এসব কাজ মন্দ।

২. একজন শক্তিধর প্রভাবশালী অপরাধীকেও একজন মুসলমান বুঝিয়ে নমনীয় করতে পারে।

এবার একটু ভিন্নভাবে দেখা যাক। ধরুন আপনি এ পৃথিবীর একজন শক্তিশালী প্রভাবশালী অপরাধী। পুলিশ আপনার করতলে। এমনকি দু'চারজন মন্ত্রী-মিনিষ্টারও হাতের মুঠোয়।

বহু চামচা রয়েছে আপনাকে সারাক্ষণ পাহারা দেবার জন্য। আর আমি একজন মুসলমান যে আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হবো-ডাকাতি, ধর্ষণ, প্রতারণা ইত্যাদি জঘন্য কাজ।

এখন আমি যদি পূর্বের যুক্তিতর্ক তার সামনে উপস্থাপন করি তবে সে একইভাবে উত্তর দেবে যেমনটা আগে সে দিয়েছে। একথাও সঠিক যে, অপরাধী অত্যন্ত যুক্তিবাদী এবং তার সমস্ত যুক্তি যথাযথ।

কিন্তু তা শুধুমাত্র তখনি সত্য ও সঠিক যখন সে একজন শক্তি ও প্রভাবশালী অপরাধী।

৩. প্রতিটি লোক ন্যায় ও সুবিচারের আকাঙ্ক্ষি। 

এমনকি এ সুবিচার যদি সে অন্যের জন্য না চায় নিজের জন্য তা অবশ্যই আশা করবে। শক্তি ও প্রভাবের বদৌলতে অনেকে নেশা করে আর অন্যদের দুঃখ দুর্দশার কারণ হয়।

এই একই লোক ফোঁস করে উঠবে যদি তাদের প্রতি কোনো অবিচার হয়। এধরনের লোকদের অপরের দুঃখ-কষ্টের প্রতি কোনো অনুভূতি না থাকার কারণে তারা ক্ষমতা ও প্রভাবের পূজা করে।

এই ক্ষমতা ও প্রভাবের দরুন তারা যে শুধু অন্যের ওপরে অবিচার করছে তা-ই নয় বরং অন্যে যাতে তাদের প্রতি অনুরূপ আচরণ না করতে পারে তার প্রতিরোধও করছে।

৪. আল্লাহ মহাশক্তিমান এবং ন্যায়পরায়ণ।

একজন মুসলিম হিসেবে আমি অপরাধিকে আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে স্মরণ করাব যে, এই আল্লাহ তোমার চেয়ে অনেক অনেক বেশি শক্তির অধিকারী এবং সেই সঙ্গে তিনি ন্যায়পরায়ণও। কুরআন বলছে, "নিশ্চয়ই আল্লাহ অবিচার করেন না (কারো প্রতি) বিন্দু পরিমাণ।"

৫. আল্লাহ আমাকে কেন শাস্তি দিচ্ছেন না?

অপরাধী, যুক্তিবাদী এবং বিজ্ঞানী হওয়ার সুবাদে কুরআনের বিজ্ঞান ও যুক্তিসঙ্গত দলিল প্রমানাদি উপস্থাপনের পরে আল্লাহর অস্তিত্ব সম্বন্ধে তার কোনো আপত্তি থাকল না।

এখন সে হয়তো প্রশ্ন করে বসবে যে, আল্লাহ মহাশক্তিমান এবং সুবিচারক হওয়া সত্ত্বেও তাকে কেন শাস্তি দিচ্ছেন না?

৬. যারা অবিচার করে তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

প্রতিটি মানুষ, যেকোনো অবিচারের শিকার হয়েছে তা আর্থিকভাবে হোক অথবা সামাজিকভাবে ভূক্তভোগী প্রতিটি মানুষ চাইবে অত্যাচারীর শাস্তি হোক। প্রতিটি সাধারণ মানুষের আন্তরিক কামনা, ডাকাত, ধর্ষককে সমুচিত শিক্ষা দেয়া হোক।

যদিও অসংখ্য অপরাধী ধরাও পড়ছে, শাস্তিও পাচ্ছে কিন্তু তারপরও কতিপয় শক্তিধর লোক মুক্ত সমাজে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নিজের স্ফূর্তিময় বিলাসী জীবন যাপন করছে।

অতঃপর যদি এধরনের লোকদের ওপর অবিচার আপতিত হয় এমন একজনের দ্বারা যে তার চাইতেও বেশি শক্তিধর। তখন এই অপরাধী ও চাইবে যে, তার প্রতি অবিচারকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

৭. এ জীবন পরকালীন চির স্থায়ী জীবনের জন্য পরীক্ষার অবকাশ মাত্র

পরকালের অনন্ত জীবনে সফলতার সঙ্গে প্রবেশের ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য জীবনটা একটা পরীক্ষা। কুরআন বলছে,

الذي خلق الموت والحيوة ليبلوكم أيكم أحسن عملا ط وهو العزيز الغفور .

অর্থ: যিনি সৃষ্টি করেছেন- মৃত্যু ও জীবন, যেন তিনি (তাদ্বারা) পরীক্ষা করে দেখতে পারেন কাজে-কর্মে তোমাদের মধ্যে কে সর্বোত্তম। তিনি তো মহাশক্তিমান ক্ষমা দানকারী। -(সূরা আল-মুলকঃ ২)

৮. চূড়ান্ত ফয়সালা শেষ বিচার দিনে

অর্থ: প্রতিটি প্রাণকেই মৃত্যু-যন্ত্রনা ভোগ করতেই হবে এবং অবশ্যই পুরোপুরিভাবে বুঝে দেওয়া হবে তাদের পাওনা কেয়ামতের দিন। তখন যে রক্ষা পেলো আগুন থেকে এবং প্রবেশ করতে দেওয়া হলো জান্নাতে চূড়ান্তভাবে সে-ই লাভ করলো মহা সফলতা। আর এই পৃথিবীর জীবন কিছুই নয়, শুধু (ক্ষণিকের জন্য) মায়া ও মোহময় আয়োজন। -(সূরা আলে-ইমরানঃ ১৮৫)

ভালো মন্দের সবকিছু পরিমাপ করে দেখানো হবে শেষ বিচার দিনে। একজন মানুষের মৃত্যুর পরে তাকে পুর্ণজীবিত করা হবে সর্বকালের সকল মানুষের সঙ্গে শেষ বিচার দিনে।

এটা খুবই সম্ভব যে, একজন মানুষ তার প্রাপ্য শাস্তির কিছু অংশ এই পৃথিবীতে পেলো। আর চূড়ান্ত শাস্তি অথবা পুরষ্কার সে পাবে পরকালে।

মহান আল্লাহ একজন ডাকাত বা একজন ধর্ষককে পৃথিবীতে কোনো শাস্তি নাও দিতে পারেন, কিন্তু শেষ বিচার দিনে তাকে অবশ্যই সকল কৃতকর্মের হিসেব দিতে হবে এবং সেই চিরস্থায়ী পরকালে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।

৯. মানুষের আইন কি হিটলারকে শাস্তি দিতে পারে

এ্যডলফ 'হিটলার' তার ভয়ঙ্কর ত্রাসের শাসনামলে ৬০ লক্ষ ইহুদীকে পুড়িয়ে মেরেছে। এখন পুলিশ যদি তাকে গ্রেফতার করতো তাহলে মানুষের আইন অনুযায়ী ন্যায়সঙ্গতভাবে তাকে কী সাজা বা শাস্তি দিত?

সর্বোচ্চ শাস্তি তারা হয়তো সেই গ্যাস চেম্বারে হিটলারকে ঢুকিয়ে দিতে পারত। কিন্তু তাতে তো শুধুমাত্র একজন ইহুদী হত্যার প্রতিশোধ তথা শাস্তি হতো! বাকি যে ৫৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯শ ৯৯ জন ইহুদী- তাদের হত্যার প্রতিশোধ কীভাবে হবে?

১০. একমাত্র আল্লাহ পারেন হিটলারকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে ষাট লক্ষ বারের চাইতেও বেশি বার জ্বালাতে।

কুরআনে আল্লাহ বলেছেন: "যারা আমাদের আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করেছে খুব শিঘ্রই আমরা তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়া যখন পুড়ে গলে যাবে তখন তার পরিবর্তে আমরা তাদেরকে নতুন চামড়া দিয়ে দেব। যেন তারা আযাবের স্বাদ বুঝতে পারে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তিমান মহাজ্ঞানী।" (৪:৫৬)

পরকালের অনন্ত জীবনে হিটলারকে একমাত্র ন্যায়বিচারক আল্লাহই পারেন যাট লক্ষ বার পুড়ে মরার স্বাদ কেমন তা বুঝিয়ে দিতে।

১১. মানবীয় মূল্যবোধ, পরকালের নিশ্চিত আস্থা ছাড়া কখনো কোনো মূল্য রাখে না।

যুক্তির কষ্টিপাথরে যাচাই করা বাস্তব সত্য এই যে, পরকালের প্রতি যার দৃঢ় আস্থা নেই, মানবীয় মুল্যবোধ এবং ভালো ও মন্দ কর্মের পরিণতি এমন ব্যক্তির কাছে প্রমাণ করা সম্পূর্ণ অসম্ভব- এখানে যে অবিচার, অত্যাচার, জুলুম করেই যাচ্ছে। বিশেষভাবে যদি সে ক্ষমতাবান হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post