মহিলারা কি তারাবীহর জামাআতে শরিক হতে পারবে?

মহিলারা কি তারাবীহর জামাআতে শরিক হতে পারবে?

মহিলারা কি তারাবীহর জামাআতে শরিক হতে পারবে?

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ):

প্রথমেই আপনাদের অবগতির জন্য জানাই- তারাবীহর জামাআত শুরুই হয়েছে মহিলাদের দিয়ে। তারাবীহ মাসনুন নফল নামায। মূলত এই নামাযে জামাআত বৈধ না।

শুধু জামাআত বৈধ হয়েছে কুরআন শোনার জন্য। আর কুরআন শোনার আবেগ, প্রয়োজন, আধিকার পুরুষদের মতো নারীদেরও একই।

রাসূলুল্লাহ (সা.) তিনদিন জামাআতে তারাবীহ আদায় করেন। এটা হাদীসেই এসেছে স্পষ্ট-

তিনি তার স্ত্রী ও মেয়েরেকে জামাআতে শরিক হতে বলেন। অন্য একটা হাদীস, সনদগত কিছু বিতর্ক আছে, উবাই বিন কাব (রা.) বাড়িতে মেয়েদের নিয়ে জামাআতে তারাবীহ পড়েন।

উমার (রা.) যখন তারাবীহর জামাআত শুরু করলেন মসজিদে, মেয়েদের জন্য আলাদা, পুরুষদের জন্য আলাদা জামাআতের ব্যবস্থা করলেন।

মেয়েদের জন্য একজন ইমাম আলাদা, পুরুষদের জন্য ইমাম আলাদা করে দিলেন। পরবর্তীতে উসমান (রা.) এবং আলি (রা.)-এর যুগে এক জামাআতে পেছনে মেয়েরা নামায পড়তেন।

কাজেই জামাআতে তারাবীহ পড়ার অধিকার মেয়েদেরও সমান। এ জন্য মেয়েদের যদি সুযোগ থাকে, মসজিদে পর্দার সাথে পৃথকভাবে জামাআতে আসতে পারেন, আলহামদুলিল্লাহ।

নইলে নিজেদের বাড়িতে, খানকায়, বৈঠকখানায় তারা জামাআতে তারাবীহ পড়তে পারেন। ইমাম সাহেব কয়েকজন পুরুষকে নিয়ে পর্দা দিয়ে সামনে দাঁড়াবেন- এটা খুবই ভালো।

আপত্তি যারা করেন তারা বস্তুত হাদীসও জানেন না, ফিকহও জানেন না হয়তো। আল্লাহ সর্বজ্ঞ। কোনো মাযহাবেও এটা আপত্তি করা হয়নি।

Post a Comment

Previous Post Next Post