ফেসবুক প্রফাইলে Friends এবং Followers দ্রুত বৃদ্ধি করার ১৫ টি সহজ কৌশল।

ফেসবুকে বন্ধুর সংখ্যা দ্রুত বাড়াবো কীভাবে? |
ফেসবুকে ফলোয়ার সংখ্যা দ্রুত বাড়াবো কীভাবে?

আমরা সবাই ফেসবুক চালালেও ফেসবুকে কিন্তু সবাই সমান জনপ্রিয় নই। দেখা যার কারো কারো প্রফাইলে প্রচুর পরিমাণের ফ্রেন্ডস, ফলোয়ার থাকে।

যার কারণে সে কোনো পোস্ট করার সাথে সাথেই ঝড়ের গতিতে রিয়াক্ট, কমেন্ট পড়তে থাকে। আবার কারো কারো ফেসবুক ফ্রেন্ডস, ফলোয়ার খুবই কম।

যার জন্য তার প্রফাইলের কোনো পোস্টে রিয়াক্ট, কমেন্ট তেমন আসেনা। এর আগে একটি আর্টিকেল লিখেছিলাম, ফেসবুকে কীভাবে বেশি বেশি রিয়াক্ট ও কমেন্ট পাওয়া যায় তার উপায় নিয়ে।

আসলে ফেসবুক জনপ্রিয় হওয়ার উপায় এবং ফেসবুকে বেশি বেশি রিয়াক্ট, কমেন্টস পাওয়ার মূলমন্ত্রই হচ্ছে ফেসবুক প্রফাইলে বেশি সংখ্যক ফ্রেন্ডস, ফলোয়ার থাকা।

তাই অনেকের প্রশ্ন করে, “ফেসবুকে ফলোয়ার বানাবো কীভাবে? ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে না কেন? ফেসবুকে বন্ধুর সংখ্যা বাড়াতে চাইলে কী করতে হবে?”

প্রযুক্তি প্রিয়‘র আজকের এই আর্টিকেলটি হচ্ছে, “কী করলে ফেসবুকে বেশি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসবে” আর “কী করলে বেশি ফলোয়ার পাওয়া যাবে” তা নিয়ে। চলুন শুরু করি-

ফেসবুক প্রফাইলে Friends এবং Followers দ্রুত বৃদ্ধি করার ১৫ টি সহজ কৌশল।

কীভাবে ফেইসবুক ফ্রেন্ড সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো যায়? | কীভাবে ফেসবুকে ফলোয়ার বৃদ্ধি করা যায়?

০১. ফেসবুকে নিয়মিত একটিভ থাকুন।

ফেসবুকে বেশি বেশি একটিভ থাকুন। তবে ফেসবুকে একটিভ থাকতে গিয়ে যেন আপনার প্রাত্যহিক দিনের কাজ কর্মের কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।

ফেসবুকে অনেকেই আসক্তি হয়ে নিজস্ব কাজকর্ম, খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনা বাদ দিয়ে সারাদিন অনলাইনে পড়ে থাকে।

আপনার প্রাত্যহিক দিনের কাজকর্ম সঠিকভাবে করে অবসর সময়ে চেষ্টা করবেন ফেসবুকে একটিভ থাকতে।

০২. ফেসবুক প্রফাইল সুন্দর করে সাজান।

আপনার ফেসবুক প্রফাইলটি সুন্দর করে সাজান। অর্থাৎ ফেসবুক প্রফাইলে সুন্দর একটি কাভার ফটো এবং যেসব প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দেওয়া জরুরি সেগুলো সঠিক ও বিস্তারিত ভাবে দিন।

এবং তা Public করে রাখুন যাতে অন্যান্য ফেসবুক ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই আপনার পরিচয় জানতে পারে।

যেমন: আপনি কোথায় পড়াশোনা করেছেন, আপনার কোথায় থাকেন, কী কাজ করেন, কোথায় কাজ করেন, ইত্যাদি ইত্যাদি।

০৩. নিজের নাম ও ছবি ব্যবহার করুন।

ফেসবুকে অনেকেই দেখি কীসব আজব আজব নামে অ্যাকাউন্ট চালায়! যেমন: নিশি রাতের ডাব চুর, পর্দায় অন্তরালে, মেঘ বালিকা, মেঘলা আকাশ, আব্বুর রাজকুমার, নষ্ট জীবন আরো কতো কী!

কেন রে ভাই/বোন, বাড়িতে আপনার মা-বাবা কি আপনাকে এসব নামেই ডাকে? না কি পরিবারের দেওয়া সুন্দর একটি নাম আছে?

ফেসবুক আইডি খুলতে আপনার নিজের নাম ব্যবহার করুন। এতে আপনার পরিচিত মানুষ জন সহজেই আপনাকে খুজে পাবে।

আর আপনার যদি একাধিক নাম থেকে থাকে তাহলে আপনার যেকোনো একটি নাম ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি খুলতে পারেন।

আর খুব বেশি সমস্যা না থাকলে ফেসবুকে আপনার নিজের ছবি ব্যবহার করুন। বিশেষ করে আমাদের দেশের বেশির ভাগ মেয়েরাই ফেসবুকে তাদের নিজের ছবি দিতে চায় না।

আপনি চাইলে আপনার নিজের ছবি ব্যবহার করে প্রফাইল ফটো গার্ড ব্যবহার করে এবং প্রফাইল লক করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারবেন।

০৪. প্রফাইলে সুন্দর ছবি দিন।

সব সময় ফেসবুক প্রফাইলে আপনার নিজের সেরা ছবি যুক্ত করবেন। যাতে অন্যান্য ফেসবুক ব্যবহারকারী আপনার সেই ছবিটি দেখে আপনাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাতে ইচ্ছে পোষণ করে।

০৫. ফেসবুক প্রফাইল ছবি নিয়মিত পরিবর্তন করুন।

ফেসবুক বন্ধু বাড়ানোর কিছু কৌশল রয়েছে যার মধ্যে এটিও একটি কৌশল।

ফেসবুকে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মাঝে আপনাকে সাজেশন হিসেবে দেখাবে, যেখানে আপনার নাম ও প্রফাইল ছবি থাকবে।

তাই আপনার ফেসবুকে দেওয়া প্রফাইল ছবিটি মাঝে মাঝে পরিবর্তন করুন।

০৬. নিয়মিত সুন্দর সুন্দর পোস্ট করুন।

আপনি কাউকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠানোর পূর্বে বেশিরভাগ সময়ই হয়তো তার প্রফাইলটি ঘুরে দেখেন। বিশেষ করে তার করা পোস্টগুলো।

আর সেই পোস্টগুলো ভালো লাগলেই ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠান। তাই আপনার ফেসবুক আইডি থেকেও নিয়মিত তথ্যমূলক ও জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দিন।

ছবি ও ভিডিও পোস্ট করার সময় আকর্ষণীয় ক্যাপশন লিখে দিন। যাতে অন্যরা আপনার ফেসবুক প্রফাইল ঘুরে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাতে ইচ্ছা পোষণ করে।

০৭. বন্ধুদের পোস্টে রিয়াক্ট ও ইতিবাচক মন্তব্য করুন।

আপনি যদি আপনার ফেসবুকের বন্ধুদের পোস্টে রিয়াক্ট, ইতিবাচক মন্তব্য করেন তাহলে আপনার কোনো ক্ষতি হবে।

এতে আরো আপনার বন্ধুরাও আপনার পোস্টে রিয়াক্ট, কমেন্ট করতে উৎসাহিত হবে আর আপনি আপনার ফেসবুক বন্ধুর যেসকল বন্ধুরা অর্থাৎ মিচুয়াল ফ্রেন্ডস রয়েছে তাদের নজরে আসবেন।

০৮. ফেসবুক বন্ধু বাড়ান।

ফেসবুকে আপনার বন্ধু সংখ্যা বাড়ান। আপনার ফ্রেন্ড লিষ্টে যত বেশি বন্ধু থাকবে ফেসবুক আপনার প্রফাইলটি ততো বেশি ব্যবহারকারীদের মাঝে সাজেসটেড হিসেবে দেখাবে।

যেমনটি আপনি ফেসবুক ব্যবহার করার সময় মাঝে মাঝেই “Suggested People” এবং “People You May Know” লেখার নিচে অনেকের আইডি দেখতে পান।

ফেসবুকে ফ্রেন্ড সাজেশন কী আশা করি তা সবাই জানেন।

০৯. কাদেরকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাবেন?

ফেসবুকে আপনি কাদেরকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাবেন? আপনার ফেসবুক আইডি যেন বেশি বেশি মানুষের কাছে গিয়ে পৌছায় তার জন্য ফ্রেন্ড বাছাই করতে একটু কৌশলী হতে হবে।

আপনি বেছে বেছে তাদেরকেই ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাবেন যাদের ফ্রেন্ড সংখ্যা অনেক বেশি এবং যারা বেশিরভাগ সময় একটিভ থাকে।

এর ফলে ফেসবুকে আপনার প্রফাইলটি বেশি বেশি সাজেসটেড দেখাবে আর ফেসবুক আইডিতে বেশি বেশি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসতে থাকবে।

১০. ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট ঝুলিয়ে রাখবেন না।

আপনাকে যারা ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাবে আপনি তাদের রিকুয়েষ্ট বেশি সময় ঝুলিয়ে না রেখে সম্ভব হলে Confirm অথবা Cancel করে দিন।

আপনার প্রফাইলের ফলোয়ার অপশন অন থাকলে যাদের ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট Cancel করে দিবেন তারাও আপনার ফলোয়ার হয়ে যাবে।

এতে তারা আপনার Public পোস্টগুলো দেখতে পারবে। বেশি বেশি ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠানোর কারণে অনকেরই ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লক হয়ে যায়।

ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লক ঠেকানোর উপায় হলো আপনি যাদেরকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাবেন তারা যদি এক্সেপ্ট না করে তাহলে কিছু দিন অপেক্ষা করে সেই রিকুয়েষ্টগুলো বাতিল করে দেওয়া।

১১. ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দেওয়ার অপশন Public করে রাখুন।

ফেসবুকে আপনাকে যেন সবাই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারে, সেটিংসে গিয়ে সেটি নিশ্চিত করুন।

Settings > Profile Privacy > Who Can Send Your Friend Requests? > Everyone (বাছাই করে দিন)

১২. প্রয়োজন ছাড়া প্রফাইল তালা দিয়ে রাখবেন না।

ফেসবুকে অনেকেই কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই তার প্রফাইল লক করে রেখে দেয়। এতে যারা তাদের বন্ধু তালিকায় নেই তারা তার কোনো পোস্ট দেখতে পারেনা।

এমনকি তার প্রফাইল ছবিটিও ভিউ করতে পারে না। তাই ফেসবুকে বন্ধুর সংখ্যা দ্রুত বাড়াতে চাইলে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া প্রফাইল লক করে রাখবেন না।

১৩. বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে সক্রিয় থাকুন।

বিভিন্ন ফেসবুকে গ্রুপে নিজেকে সক্রিয় রাখুন। গ্রুপগুলোতে নিয়মিত পোস্ট করুন। আর অন্যদের করা পোস্টেও রিয়াক্ট ও ইতিবাচক মন্তব্য করুন।

বিশেষ করে আপনার এলাকা ভিত্তিক যেসব ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে সেগুলোতে যুক্ত হয়ে আপনার এলাকার বিভিন্ন প্রাকৃতিক ছবি, সংবাদ ও বিনোদনমূলক পোস্ট নিয়মিত করতে পারেন।

তাহলে খুব সহজেই উক্ত ফেসবুক গ্রুপগুলোর সদস্যদের নজরে আসবেন এবং তাদের মধ্যে অনেকেই আপনাকে তখন ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাবে।

যা ফেসবুকে বেশি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাওয়ার উপায় হিসেবে অনেক ভালো কাজ করবে।

১৪. নিজের দক্ষতা কাজে লাগান।

আপনার যদি কোনো বিষয়ে দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে ফেসবুক ঐ বিষয়ের উপর বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপ খোঁজে সেগুলোতে যুক্ত হোন এবং নিয়মিত একটিভ থাকুন।

অন্যদের কাছ থেকে শিখুন এবং নিজে যা জানুন তা অন্যদের শিখান।

১৫. ফেসবুক অটো ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট। | ফেসবুক অটো ফলোয়ার।

অনেকেই দ্রুত সময়ে ফেসবুকে বেশি বেশি ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট ও ফলোয়ার পেতে ফেসবুক অটো ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এবং ফেসবুক অটো ফলোয়ার কিভাবে নিবো তা জানতে চান।

ফেসবুক অটো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ও অটো ফলোয়ার নেওয়ার জন্য অনলাইনে অসংখ্য টুলস ও সফটওয়্যার রয়েছে। যার বেশিরভাগই সঠিকভাবে কাজ করে না।

কয়েকটি টুলস ও সফটওয়্যার কাজ করলেও তা থেকে খুবই কম ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট বা ফলোয়ার পাওয়া যায়।

তাছাড়া অটো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট নিতে গিয়ে অনেকের ফেসবুক আইডি ডিজেবল পর্যন্ত হয়ে যায়। তাই নিজের ফেসবুক আইডি রক্ষা করতে চাইলে এসব চিন্তা ভুলেও মাথায় %

Post a Comment

Previous Post Next Post