২০২৫ সালে কোন দেশের মুসলিমরা কত ঘণ্টা রোজা রাখবে?

২০২৫ সালে কোন দেশের মুসলিমরা কতো ঘণ্টা রোজা রাখবে?

পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে আর অল্প কয়েকটা দিন বাকি। রমজানকে ঘিরে প্রস্তুতি চলছে বিশ্বের সব মুসলিম দেশে। বিশ্বব্যাপী মুসলামনেরা রোজা পালনে উৎসবমুখর দিন অতিবাহিত করেন। ঈমানদারদের জন্য রোজা রাখা ফরজ। তাই মুসলিমরা এই মর্যাদাপূর্ণ মাসকে গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকেন।

২০২৫ সালে কোন দেশের মুসলিমরা কত ঘণ্টা রোজা রাখবে?

রমজানের রোজা রাখার সময়সূচি একেক দেশে একেক সময়ের ভিন্নতা দেখা যায়। দেখা যায় দিন-রাতের দৈর্ঘ্য কম-বেশি। তা মূলত ভৌগলিক অবস্থানের প্রেক্ষাপটে হয়ে থাকে তাতে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময়ের পার্থক্য বেশ লক্ষ্যণীয়। সে অনুযায়ী কখনো কখনো দিনের ১২ ঘণ্টা—১৮ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করতে হয়।

২০২৫ সালের রমজানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, আমিরাতসহ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টার বেশি রোজা রাখবেন মুসলিমরা।

২০২৫ সালে সম্ভাব্য হিসাব অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি সময় রোজা রাখতে হবে যেসব দেশে তা হলো— আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও গ্রিনল্যান্ড মুসলিমদের। তাদের রাখতে হবে ১৭ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে।

১৫ ঘণ্টার বেশি রোজা পালন করবে কাজাখস্তান, ব্রিটেন ও স্কটল্যান্ডের মুসলিমরা।

এবার ১৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রোজা রাখবেন
কানাডা, তুর্কি, ইতালি, ফ্রান্স স্পেন, আলজেরিয়া, কুয়েত, জর্ডান, মিশর, ইরাক, তিউনিসিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লিবিয়া ও মরক্কোর মুসলিমেরা।

১৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট — ১৩ ঘণ্টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত যে সকল দেশের মুসল্লিরা রোজা রাখবেন সেসকল দেশগুলো হলো— মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, উগান্ডা, মালদ্বীপ, ব্রুনাই, চাদ, মালি, কেনিয়া, সোমালিয়া, কোমোরোস, জিবুতি, ইয়েমেন, মৌরিতানিয়া, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, সুদান ও ওমান।

আবার দক্ষিণ গোলার্ধে থাকা দেশগুলোতে বসবাসকারী মুসলিমরা সবচেয়ে কম সময় ধরে রোজা পালন করবেন। এর মধ্যে যে সকল দেশগুলো রয়েছে তা হলো— নিউজিল্যান্ড ও চিলি। এসকল দেশের মুসলিমরা গড়ে মাত্র ১২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট রোজা পালন করবেন।

বিঃ দ্রঃ পৃথিবীর যেসব দেশে সূর্যাস্ত হয় না অর্থাৎ সেসকল দেশগুলো পৃথিবীর সর্ব উত্তরে যেসব দেশে মক্কা নগরীর সময় অথবা তাদের সবচেয়ে কাছের মুসলিম দেশের সময় অনুসরণ করে রোজা পালনের নির্দেশ দেয়া হয়। মূলত উত্তর গোলার্ধে রোজার সময় বছর ঘুরে হ্রাস পেতে থাকে। এ স্থানে রোজার সময় ২০৩২ সাল পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন