সৌদি আরবের ফ্যামিলি জেয়ারা ভিসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

সৌদি আরবের ফ্যামিলি জেয়ারা ভিসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

জেয়ারা ভিসা বেশ কয়েক রকমের হয়ে থাকে।    (জেয়ারা মানে ভিজিট ভিসা)

যেমন:

১- জেয়ারা ভিসা নরমাল যা নিজের নামে উঠে থাকে।

২- জেয়ারা মাল্টিপল যা ১ বছরের জন্য হয়ে থাকে, ৩ মাস পর পর মেয়াদ বাড়াতে হয়।

৩- জেয়ারা সিংগেল এন্ট্রি যা শুধু ৩ মাসের জন্য হয়ে থাকে, তবে মাঝে মাঝে মেয়াদ বাড়িয়ে ১ বছর পর্যন্ত রাখা যায়।

৪- জেয়ারা শকসিয়া তথা পার্সোনাল জেয়ারা ভিসা যা একজন সৌদির নামে উঠে থাকে।

সৌদির নামে ভিসা তুললে ৯০ ভাগ সময় দেশে ভিসা ক্যান্সেল করে দেয়।

সৌদি আরবের ফ্যামিলি জেয়ারা ভিসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

এই ভিসা তুলতে সৌদির কোনো টাকাই লাগে না, এটা একদম ফ্রি যদি সৌদি সরাসরি আপনাকে দেয়।

সৌদি আরবে জেয়ারা ভিসা তুলতে কী কী লাগে আর খরচ কত টাকা?

নিজের নামে নরমাল জেয়ারা ভিসা মাল্টিপল অথবা সিংগেল ভিসা তোলার জন্য-

  • ইকামার মেয়াদ থাকতে হবে ৯০ দিনের উপর।
  • নাফাত থাকতে হবে।
  • কফিলের চেম্বার বা গোরফা তেজারী থাকতে হবে
  • যারা আসবে তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাসের উপরে থাকতে হবে।
  • যারা আসবে তাদের আপনার নামের সাথে পাসপোর্ট মিল থাকতে হবে।

এইসব ঠিক থাকলে ভিসা আবেদন করা যায়, আবেদন করার ১০/১৫ কর্মদিবসে ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন।

জেয়ারা পার্সোনাল যা সৌদির নামে তুলে থাকে:

এই ভিসা তুলতে সময় কম এবং খরচ লাগে না, শুধু সৌদি তার আইডি দিয়ে mofa.sa আবেদন করবে।

এই ভিসায় ভিসা উঠলেও দেশে ক্যান্সেল করে দেওয়ার সম্ভাবনা ৯০ ভাগ।

হাউজ ড্রাইভার, আমেল মাঞ্জিল ও অন্যান্য প্রাইভেট কর্মীদের ভিসা তোলার নিয়ম।

যেহুতু প্রাইভেট কর্মী এক্ষেত্রে সবকিছু কফিলের আবশির থেকে করতে হবে।

তলব রেডি করে কফিলের আবশির থেকে মোয়াফাকা দিলেই ভিসার আবেদন হয়ে যাবে।

জেয়ারা ভিসা দেশে প্রসেস করতে যা যা লাগে:

কাবিন নামা,বভোটার আইডি কার্ড, আইডি কার্ড না থাকলে জন্ম নিবন্ধন হলেও চলে।

এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার কাগজপত্র রেডি করে appointment নিয়ে ঢাকায় অবস্থিত জামাল সেন্টারে হাতের ছাপ দিতে হয়।

নামের কোনো ভুল না থাকলে হাতের ছাপ ও ভিসা স্টাপিং হয়ে যাবে।

হাতের ছাপ দেওয়ার ৩/৪ দিনের মধ্যে ভিসা চলে আসে।

বাংলাদেশে অবস্থিত তাসিরা সেন্টারে ভিসা স্টাপিং খরচ:

  • বয়স কম হলে প্রতিজনের জন্য ১৬,৫০০ টাকাব্যাংক ড্রাফট করতে হয়।
  • বয়স বেশি হলে প্রতি পাসপোর্ট ১৬,৫০০ থেকে ২৩ হাজার পর্যন্ত লাগতে পারে। 
  • জেয়ারা ভিসার জন্য আলাদা করে কোনোমেডিকেল বা মেডিকেল ইন্সুরেন্স করতে হয় না।
  • ৩ মাসের ভিসার সাথে ৩ মাসের ইন্সুইরেন্সতাসিরা সেন্টারে অটো হয়ে যায়।
  • তবে দেশে কিছু বাটপার এজেন্সি ইন্সুইরেন্সএর জন্য আলাদা টাকা দাবি করে।


ভিসা স্টাপ হওয়ার পরের কাজ?

ভিসা পাওয়ার পর ৩ মাসের মধ্যে ফ্লাইট করতে হয় সৌদির জন্য।

এখানে বলে রাখা ভালো, ভিসা বের করার পর ৩ মাসের মধ্যে হাতের ছাপ দিতে হয় এটা হলো নিয়ম।

ফ্লাইট করার সময় সতর্ক হবেন অবশ্যই রিটার্ন টিকেট দেখাতে হবে। না হয় এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত পাঠাবে।

পরে চাইলে সেই টিকেট বাতিল করে টাকা তুলে নিতে পারবেন।

সৌদিতে এন্ট্রির দিন থেকে ৯০ দিন প্রথম পিরিয়ড, এন্ট্রির দিন থেকে বরাবর ২ মাস ২৩ দিনের মাথায় জাওয়াযাত থেকে ম্যাসেজ আসবে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য।

মেয়াদ আপনি বেশ কয়েকভাবে বাড়াতে পারেন।

যেমন:

১- সরাসরি সৌদির যেকোনো বর্ডার ক্রস করে।

২- দেশে পাঠিয়ে আবার এন্ট্রি করিয়ে।

৩- এজেন্সির মাধ্যমে বা সরাসরি নিজের আবশির থেকে।

মেয়াদ বাড়ানো পর ৩ মাস মেয়াদ আসবে, এইভাবে প্রত্যেক ৩ মাস পর পর মেয়াদ বাড়িয়ে বরাবর ১৫ মাস পর্যন্ত ঝামেলা ছাড়া রাখতে পারবে।

১৫ মাসের পরেও বর্তমানে মেয়াদ বাড়ানো যায়।

তথ্য: বিন মিশাল অফিশিয়াল। (মক্কা থেকে)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন