ভ্লগিং কী? নতুনরা কীভাবে ভ্লগ ভিডিও তৈরি করে সফলতা অর্জন করবে?

Vlog বলতে কী বুঝায়? নতুনরা কীভাবে ভ্লগ ভিডিও তৈরি করে টাকা আয় করবেন?

বর্তমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দেখা যায় প্রচুর ভিডিও কনটেন্ট। যার মধ্যে বেশিরভাগ ভিডিও ভ্লগের।

এই ভ্লগের মাধ্যমে কেউ আসে সহজে খ্যাতনামা বনে যেতে, আবার কেউ আসে ইনকামের জন্য নানান অঙ্গ ভঙ্গিমা দেখিয়ে ন্যাকামো করতে, আবার কেউবা আসে নিছক নিজে ও অন্যকে আনন্দে ভাসিয়ে উপভোগ করতে।

অনলাইন জগতে এ সময়ের সবচেয়ে পরিচিত শব্দটি হচ্ছে ভ্লগ। এ ভ্লগে আসক্ত ছোট থেকে বড় নানান বয়সের হরেক শ্রেণিপেশার মানুষজন।

ভ্লগিং কী? নতুনরা কীভাবে ভ্লগ ভিডিও তৈরি করে সফলতা অর্জন করবে?

হাতে আধুনিক স্বয়ংসম্পূর্ণ ফিচারে ভরা মুঠোফোন আর সাথে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় অনেকেই ভ্লগ ভিডিও তৈরি করতে পারছেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই।

ভ্লগ মূলত অডিওর পাশাপাশি ভিডিওর সংমিশ্রণ বলা চলে। দেশের জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে অসংখ্য ভ্লগ কনটেন্ট।

এ যাত্রায় অনেকেই আবার নতুন হিসেবে যোগ দিচ্ছেন নতুন ভ্লগ চ্যানেল তৈরি করার মাধ্যমে।

এককথায় আপনাকে বিশ্ব দরবারে মানুষের কাছে সহজেই পরিচয় পাইয়ে দিতে ভ্লগের বিকল্প আর কী আছে!

ভ্লগের মাধ্যমে মানুষজনকে বিনোদন দিতে, শিখনীয় বা উপকারি তথ্য বা বার্তা পৌঁছে দিতে ভ্লগিং একটি দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম তা এক প্রকার নিশ্চিত।

আর যারা নিত্য নতুন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে দর্শকদের কাছে উপস্থাপন করে ভ্লগিং করে থাকেন তাদের বলা হয় ভ্লগার।

আর এই ভ্লগিং দুনিয়ায় আপনি নতুন হয়ে থাকলে আসুন আজ জেনে যাবেন কীভাবে ভ্লগিং শুরু করবেন, নতুন ভ্লগ তৈরির কাজে কী কী দরকার, নতুন ভিডিও কনটেন্টে যা থাকা চাই তার সবকিছু নিয়ে।

আজ এমন সব বিষয় পরিচয় করিয়ে দেবো যেখানে ভ্লগিং পর্বের শুরুটা কী দিয়ে করবেন সেই সঙ্গে যা দিয়ে সহজেই ভ্লগ তৈরি করা যাবে তার ধারণা নিয়ে।

আপনি যদি এখনি ভ্লগিং শুরু করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে ভ্লগের জন্য আকর্ষণীয় এবং দুর্দান্ত কিছু ভিডিও শ্যুট শুরু করতে এমন কয়েকটি সহজ টিপস রয়েছে যা নতুন ভ্লগার হিসেবে আপনার জন্য এসকল ভ্লগিং টিপস থাকবে আজকের এই পোস্টের বিষয়বস্তুতে।

ভ্লগ ভিডিও তৈরির শুরুতে আপনার জানা বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিন। প্রথম অবস্থায় ভাবছেন ভ্লগিং কীভাবে শুরুটা করবো? এ কথাটি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।

যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে রাখতে হয় আত্মবিশ্বাস। আর এটিই হলো সাফল্যের চাবিকাঠি।

আপনি আপনার আত্মবিশ্বাসের সাথে কনটেন্ট তৈরি করুন। যে বিষয়টি আপনি ভালো জানেন সেই বিষয়টিতে ফোকাস করুন ভ্লগিং করতে।

এতে আপনি অপরকে সহজে সেই বিষয়টি বুঝাতে ও সহজে উপস্থাপন করতে পারবেন। তাই ভ্লগিং শুরুর দিকটা ভালো করতে এ বিষয়টির উপর জোর দিন।

● ভ্লগ তৈরির পূর্বে বাছাই করুন ক্যাটাগরী।

আপনি নতুন হিসেবে আপনার ভ্লগ ভিডিও আকর্ষণীয় করতে অবশ্যই চাইবেন। তাই আপনি কোন ক্যাটাগরী সবচেয়ে ভালো জানেন তা বাছাই করুন।

এতে আপনার ভ্লগ সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন, কনটেন্ট সম্পর্কে বেসিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

আর তাই এ দিকটা ভালো করে বাছাই করতে সময় নিন। কেননা, আপনার ভ্লগের জন্য ভালো ক্যাটাগরী খুঁজে পাওয়া কঠিন হলেও পরবর্তীতে সময়ের সাথে সাথে সঠিক ক্যাটাগরীর বিষয়বস্তু নিয়ে কাজ করলে সহজে জনপ্রিয়তা অর্জন করা সম্ভব।

এ হিসেবে যে ক্যাটাগরী আপনার ভ্লগের জন্য বাছাই করতে পারেন সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:-

০১. ব্যঙ্গকৌতুক।
০২. ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
০৩. পশুর  মুখোমুখি।
০৪. জীবনের ব্যর্থতা।
০৫. চ্যালেঞ্জ: সাহস, প্রবণতা, কৌতুক।
০৬. খেলাধুলা।
০৭. পণ্য পরীক্ষা / মিথ পরীক্ষা।
০৮. টিউটোরিয়াল: মেক আপ, ফ্যাশন, রান্না, সঙ্গীত, গেমিং ইত্যাদি।

শুরুতে ভ্লগিং ক্যারিয়ার হিসেবে আপনি টিউটোরিয়াল ভিডিওগুলোকে একটি সম্পূর্ণ অনলাইন কোর্সে পরিণত করতে পারেন।

এর ফলে আপনার বিষয়বস্তু প্রচার করার, আরও গ্রাহক পেতে বা ভ্লগিং আয় করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত উপায়৷

কোর্সটি হোস্ট করতে এবং শুধুমাত্র সদস্যদের জন্য একটি বিভাগ তৈরি করতে আপনার যা দরকার তা হলো একটি অনলাইন কোর্স প্ল্যাটফর্ম।

এছাড়াও প্রশ্ন, মন্তব্যের উত্তর দিয়ে ভিডিও তৈরি করে বা ফ্যানদের নিকট উপহারেরর বিনিময়ে খোলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনার দর্শকদের সাথে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ তৈরি করুন।

তাদের অনুরোধ এবং ভিডিওর মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে নিন এবং নতুন ধারণার জন্য এটি ব্যবহার করুন।

এছাড়াও, তারা আপনার নিউজলেটারের জন্য সাইন আপ করার সময় তাদের একটি স্বাগত বার্তা পাঠাতে ভুলবেন না।

● ক্যামেরার সামনে জড়তাহীন কথা বলার অভ্যাস করুন।

আপনি যদি সবেমাত্রই ভ্লগিং শুরু করে থাকেন তাহলে তা চ্যালেঞ্জিং এবং কঠোর একটি কাজ হতে পারে।

জনসমুক্ষে ক্যামেরার সামনে কথা বলার সময় হতে হয় আত্মবিশ্বাসী, প্রয়োজন পরে প্রচুর অনুশীলনের।

যখন আপনি সাহসীকতা আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজেকে ভ্লগে উপস্থাপন করবেন ও কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন তখন আপনার দর্শকরাও তা করবে। আর এই টিপটি সম্ভবত সেরা ভ্লগিং টিপসগুলোর মধ্যে একটি।

তাই ক্যামেরার সামনে কথা বলতে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী এবং জড়তাহীন হতে হবে।

আর এর সাথে উচ্চ মানের অডিও রেকর্ড করার জন্য আপনার সঠিক ভ্লগিং মাইক্রোফোন আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।

● একটি ভালো মানের ক্যামেরা ব্যবহার করুন।

ভালো মানের ফুটেজ একটি ভ্লগকে ব্যতিক্রমী করে তোলে। বর্তমানে ফোন ডেভেলপাররা ফোনের ক্যামেরার গুণমান উন্নত করার জন্য ক্রমাগত কাজ করে চলেছেন, একটি যুক্তিসঙ্গতভাবে যোগ্য ভ্লগ ক্যামেরা হিসাবে একটি ভালো মানের ক্যামেরাযুক্ত ফোনই যথেষ্ট।

তাই মানের দিকে ভালো কোয়ালিটির ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে একটি ভালো ডিজিটাল ক্যামেরা ভ্লগিংয়ের জন্য খুবই জরুরী।

আর তাই একটি স্মার্ট ফোনের পরিবর্তে ভ্লগিংয়ের জন্য একটি ভালো মানের ক্যামেরা ব্যবহার করার পরামর্শ রইলো৷

● আপনার ভ্লগ প্রচার করতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন।

আপনার দর্শকদের কাছে আপনার নতুন ভ্লগের বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত করতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন।

একইসাথে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার ফেসবুক পেজ বা ইন্সটাগ্রাম আইডি প্রচার করতে আপনার ভ্লগেও তা প্রচার করুন।

আপনার দর্শকদের কাছে প্রতুত্তর পাঠাতে এবং মন্তব্যের উত্তর দিতে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় বাছাই করে নিন। সোশ্যাল মিডিয়া টিপস হিসেবে এগুলো ফলো করতে পারেন:-

০১. সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার উপযুক্ত সময় হলো দুপুর ২-৩টা।

০২. আপনার কল টু অ্যাকশনের জন্য একটি বিপরীত রঙ ব্যবহার করুন। যেমন: “উপরে সোয়াইপ করুন!” বা “জীবনীতে লিঙ্ক করুন”।

০৩. আকর্ষণীয ইমোজিস অন্তর্ভুক্ত করুন।

০৪. প্রয়োজনীয় #হ্যাশট্যাগ যোগ করুন।

০৫. আপনার ভ্লগের সংক্ষিপ্ত ট্রেলার ভিডিও দেখান।

● নড়বড়ে ভিডিও ফুটেজ পরিহার করুন।

বেপরোয়া ও নড়বড়ে ভিডিও ভ্লগিংয়ের কারণে অনেক ভ্লগের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং তা দেখতে দর্শকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

আপনার নিকট ভ্লগে এ বিষয়টি এটি একটি ছোটখাটো সমস্যা বলে মনে হতে পারে কিন্তু ভ্লগিং দৃশ্যে নড়বড়ে ফুটেজ একটি প্রধান অন্তরায়।

তবে এই সমস্যাটি সমাধান করতে ক্যামেরা গিয়ার ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি আপনার ভ্লগিং শুরুর দিকটায় বাজেট নিয়ে সমস্যা হয় এবং কোনো অর্থকড়ি বিনিয়োগ করতে না চান তবে এখানে ভিডিও শ্যুটে ক্যামেরা কম্পন কমানোর কিছু উপায় রয়েছে। আর তা হলো:-

০১. ভিডিও রেকর্ডের চিত্রগ্রহণে অনুশীলন করুন।

০২. আপনার ধারণ করা ভিডিওগুলো আবার দেখুন, খুঁজে বের করুন খুঁতগুলো।

০৩. আপনার ফুটেজের স্থায়িত্ব লক্ষ্য করুন।

০৪. চিত্রগ্রহণের সময় আপনার ঝাঁকুনি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে সচেতন হন।

০৫. ছবি তোলার সময় আপনার হাতের কনুই আপনার শরীরের কাছাকাছি রাখুন।

০৬. দুই হাতে ক্যামেরা শক্ত করে ধরুন।

০৭. নিশ্চিত করুন যে, আপনার ক্যামেরা প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর ফোকাস করছে।

● নিয়মিত পোস্ট করুন।

ভ্লগিং করে সেলিব্রিটি বনে যাওয়ার পাশাপাশি, ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করাই যথেষ্ট ফ্যান সংখ্যা বৃদ্ধির একমাত্র উপায়।

সপ্তাহে একবার হলেও নিয়মিত পোস্ট করা জরুরি। এছাড়াও দর্শকদের “সাবস্ক্রাইব” করতে এবং আপনার নতুন বিষয়বস্তুতে টিউন করার জন্য “বিজ্ঞপ্তিগুলো চালু” করার জন্য একটি প্রণোদনা প্রদান করবে।

কখনোই আপনার ভিডিও এডিট করার জন্য তাড়াহুড়ো করবেন না এবং একটি অসন্তোষজনক পণ্য জোর করে প্রমোট করবেন না।

আপনি প্রতিবার সর্বোত্তম ভ্লগ তৈরিতে ফোকাস করুন, যাতে আপনি ক্রমাগত নিজেকে সেরা ভ্লগ নির্মাতা তৈরি করতে পারেন।

● বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভিডিও শিরোনাম এবং থাম্বনেল পরিহার করুন।

অনেকে নতুন ভ্লগিংয়ের শুরুতে বেশি ভিউ পাবার জন্য অহেতুক বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি পূর্ণ ভিডিও শিরোনাম এবং থাম্বনেল ব্যবহার করেন।

যা একজন আদর্শ ভ্লগারের জন্য অনুচিত। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

কেননা শুরুতে আপনি ভালো ভিউ পেলেও পরে দর্শকদের চাহিদা না মেটানোর কারণে আপনি ভালো ফ্যানদের হারাবেন, যা কখনোই একজন ভ্লগারের কাম্য নয়।

আপনার শিরোনাম এবং থাম্বনেইল হলো অনেকগুলো অপশনের মধ্যে থেকে আপনার ভিডিওতে ক্লিক করার জন্য দর্শকদের প্ররোচিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টুল।

তাই আপনাকে এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে গণনা করতে হবে। এজন্য ভালো কীওয়ার্ড বৈশিষ্ট্য শিরোনাম এবং থাম্বনেল ব্যবহার করুন।

দর্শকদের কাছে কৌতূহল তৈরি করুন এবং দর্শককে আরও কৌতূহলী করে তুলুন এবং সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ব্যবহার করুন।

● আপনার ভ্লগে সেরা মানের মিউজিক ব্যবহার করুন।

আপনার তৈরিকৃত ভ্লগ ভিডিওগুলোর জন্য মিল রেখে ভালোমানের মিউজিক কপিরাইট ফ্রি খুঁজে পাওয়া কখনও কখনও একটি বিশাল ঝামেলার মতো মনে হতে পারে৷

এজন্য রয়্যালটি ফ্রি, স্টক মিউজিক এবং আরও অনেক কিছুর মতো অনেকগুলো অপশন আছে।

আপনি আপনার ভ্লগ ভিডিওতে কোনো কপিরাইটযুক্ত মিউজিক ব্যবহার করেন কিনা তা ইউটিউব-এর কন্টেন্টআইডি প্রোগ্রাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষা করবে এবং ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেবে।

এর অর্থ হতে পারে আপনি ভিডিওটি নগদীকরণ করতে অক্ষম, অডিওটি নিঃশব্দ করা হবে তবে তিনটি স্ট্রাইকের পরে তারা আপনার অ্যাকাউন্টও নিষিদ্ধ করতে পারে।

এজন্য এরকম যেকোনো অঘটন যাতে না ঘটে তাই আপনার ভ্লগগুলোতে সর্বদা রয়্যালটি মুক্ত মিউজিক ব্যবহার করা উচিত।

● ট্রেন্ডস অনুসরণ করুন এবং অংশগ্রহণ করুন।

সবসময় সর্বশেষ ট্রেন্ডের সাথে আপ টু ডেট থাকার চেষ্টা করুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেগুলোতে অংশগ্রহণ করুন৷

একটি জনপ্রিয় ট্রেন্ডিং ভিডিওগুলো একটি নিয়মিত ভ্লগের চেয়ে ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি তাই এটি আপনার চ্যানেল সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে অনেক সাহায্য করতে পারে৷

● গুণমানে ফোকাস করুন, পরিমাণে নয়।

গুণমানকে আপনার ভ্লগের প্রাথমিক ফোকাস করুন। অনেক ভ্লগার প্রতিদিনের ভ্লগিং সময়সূচিতে লেগে থাকার চেষ্টা করে যদিও তাদের কাছে প্রতিদিন একটি বিনোদনমূলক ভ্লগ করার জন্য পর্যাপ্ত ফুটেজ নেই।

আর তাই নতুন ভ্লগার হিসেবে আপনাকে সর্বদা উচ্চ-মানের ভ্লগ তৈরিতে ফোকাস করতে হবে।

মনোনিবেশ করুন ভিডিও কনটেন্ট তৈরিতে যা আপনার দর্শকরা দেখতে উপভোগ করবে। এজন্য সপ্তাহে শুধুমাত্র ১-২টি ভিডিও আপলোড করতে পারেন।

● আপনাকে এবং আপনার ভ্লগকে ইউনিক করুন।

ভ্লগের জগতে ইতিমধ্যেই অনেক ভ্লগার যুক্ত রয়েছেন এবং প্রতিদিন নতুন ভ্লগার আসছেন। তাই এসবের ভিড়ে আপনাকে আলাদা ও অনন্য হওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

অন্যান্য ভ্লগারদের থেকে নিজেকে আলাদা করার অনেক উপায় আছে।

যেমন: আপনার সম্পাদনার শৈলী, আপনি আপনার ভ্লগে কী করেন বা কীভাবে কথা বলেন বা একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনি কেমন ইত্যাদি।

● টেস্ট, টেস্ট এবং টেস্ট…

ভ্লগিং শুরুতে আপনার চূড়ান্ত টিপস হলো পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া। নতুন নতুন জিনিস তৈরিতে চেষ্টা করতে থাকুন।

তা হতে পারে দীর্ঘ দৈর্ঘ্যের ভিডিও, ছোট দৈর্ঘ্যের ভিডিও, বিভিন্ন বিষয় ইত্যাদি। তাই নতুন জিনিস চেষ্টা করতে ভয় পাবেন না।

প্রয়োজনে ভ্লগের কনটেন্টকে মূল্যায়ন এবং সামঞ্জস্য করুন। আর এই পরিবর্তনগুলোর সাফল্য বিশ্লেষণ করতে দর্শকদের মন্তব্য এবং তাদের কাছ থেকে চ্যানেলের সার্বিকমান বিশ্লেষণে প্রতিক্রিয়া ব্যবহার করুন৷

Post a Comment

Previous Post Next Post